ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষে অসাধারণ বীরত্ব দেখিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এদিকে ভারতের অভিযানের জবাবে পাকিস্তান 'বুনিয়ান আল-মারসাস' অভিযান শুরু করেছিল। তবে মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তনের অভিযান মুখ থুবড়ে পড়ে। এর জেরে পাকিস্তানকে কার্যত হাত জোড় করে ভারতের কাছে সংঘর্ষবিরতির আবেদন করতে হয়েছিল। এই আবহে রিপোর্টে এবার দাবি করা হল, ভারতীয় বিমানবাহিনী চারটি ভয়াবহ এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছিল, যার ফলে পাকিস্তান হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, রাফাল ও সুখোই থেকে ছোড়া সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিতে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি চাকলালা, জ্যাকোবাবাদ ও ভোলারি। (আরও পড়ুন: 'ভারতের জলবোমা ঝুলছে মাথার ওপর', না খেতে পেয়ে মরার ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জামিনের বদলে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ বিচারকের, বদলি করল দিল্লি হাইকোর্ট
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া এসসিএএলপি ক্ষেপণাস্ত্র এবং সুখোই-৩০এমকেআই থেকে ছোড়া ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ইসলামাবাদের কাছে অবস্থিত চাকলা বিমানঘাঁটিতে (নূর খান বিমানঘাঁটি) নিখুঁতভাবে আঘাত হানে। এখানেই ছিল পাকিস্তানের নর্দার্ন এয়ার কমান্ডের প্রধান কন্ট্রোল সেন্টার – যা প্রথম আক্রমণেই ধ্বংস হয়ে যায়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ট্রাইকে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। জ্যাকোবাবাদ ও ভোলারি বিমানঘাঁটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সেই এয়ারস্ট্রাইকে। এর ফলে পাকিস্তান আর পালটা জবাব দেওয়ার অবস্থাতেও ছিল না। (আরও পড়ুন: শুধু অ্যাপল নয়, শুল্ক জুজু দেখিয়ে স্যামসাংকেও ভারতের থেকে 'তাড়াতে' চান ট্রাম্প?)
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির সেনা আধিকারিকরা, UNSC-তে পাক মুখোশ ছিঁড়ল ভারত
এই সবের মাঝে ৩১৫ কিলোমিটার দূর থেকে পাকিস্তানের বায়ুবাহিত সতর্কীকরণ ব্যবস্থা এসএএবি-২০০০ এইডব্লিউএন্ডসি ধ্বংস করেছিল ভারতের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই চারটি হামলাতেই পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে তারা অবিলম্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিল। পরে ভারতের কাছে সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েছিল। (আরও পড়ুন: 'জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক ইউনুস… বিপন্ন ভারতের নিরাপত্তা', বিস্ফোরক আওয়ামি লিগের)
আরও পড়ুন: নিজের সংস্থাকে একের পর এক সুবিধা, নোবেলজয়ী ইউনুস এখন 'ভিলেন' বাংলাদেশে!
এদিকে শুধু তাই নয়, সংঘর্ষের প্রথমদিন নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তান নির্বিচারে শেলিং করে প্রচুর সাধারণ মানুষকে মেরে দিয়েছিল। এরপর ভারতীয় সেনা জবাবি শেলিংয়ে পাকিস্তানের অধিকাংশ ছাউনি ও বাঙ্কার পুরো ধুলোয় মিশে গিয়েছে। সেই ঘটনাগুলির ভিডিয়ো ধীরে ধীরে নর্দার্ন কমান্ড ও ওয়েস্টার্ন কমান্ড প্রকাশ করছে। সব মিলিয়ে ভারতের অভিযানে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি এবং ৬২ জন পাক সামরিক কর্মীর মৃত্যু হয় পাকিস্তানে।