শুক্রবার একানা স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাতে পারলে লিগ টেবিলের এক নম্বরে উঠে আসার সুযোগ ছিল আরসিবির সামনে। সেক্ষেত্রে কোহলিদের সরাসরি প্রথম প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জনের সম্ভবনাও বাড়ত। তবে শেষমেশ হায়দরাবাদের কাছে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে বেঙ্গালুরু। ফলে দুই থেকে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে নেমে গিয়ে তাদের সরাসরি প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার স্বপ্ন ধাক্কা খায়।
আরসিবি যেমন আগেই প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করেছে, ঠিক তেমনই সানরাইজার্স আগেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। তবে শুক্রবার আরসিবিকে হারিয়ে হৃত সম্মান কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করেন প্যাট কামিন্সরা।
একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইশান কিষানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৩১ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। দল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত করার পরে জ্বলে ওঠে ইশানের ব্যাট। অর্থাৎ, ইশান এক্ষেত্রে মরা গাছে জল দেন বলা চলে।
শতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যান ইশান
ইশান অল্পের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন। তিনি ৪৮ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৭টি চার ও ৫টি ছক্কা। এছাড়া ১৭ বলে ৩৪ রান করেন অভিষেক শর্মা। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১০ বলে ১৭ রান করেন ট্র্যাভিস হেড। তিনি ৩টি চার মারেন।
১৩ বলে ২৪ রান করেন এনরিখ ক্লাসেন। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯ বলে ২৬ রান করেন অনিকেত বর্মা। নীতীশ রেড্ডি ৪, অভিনব মনোহর ১২ ও প্যাট কামিন্স ১৩ রান করেন।
আরসিবির হয়ে ২টি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন ভুবনেশ্বর কুমার, লুঙ্গি এনগিদি, সুয়াস শর্মা ও ক্রুণাল পান্ডিয়া। উইকেট পাননি যশ দয়াল।
আরসিবি আইপিএলে কখনও এত রান তাড়া করে ম্যাচ জেতেনি। সুতরাং, জিতে লিগ টেবিলের এক নম্বরে উঠতে হলে আরসিবিকে রান তাড়া করে জয়ের নিজেদের সর্বকালীন রেকর্ড গড়তে হতো। শেষমেশ তা সম্ভব হয়নি। আরসিবি ১৯.৫ ওভারে ১৮৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৪২ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে আরসিবি।
ব্যর্থ হয় সল্টের হাফ-সেঞ্চুরি
ফিল সল্ট আরসিবির হয়ে ৩২ বলে ৬২ রান করেন। তিনি ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ২৫ বলে ৪৩ রান করেন বিরাট কোহলি। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ১১, রজত পতিদার ১৮ ও জিতেশ শর্মা ২৪ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
হায়দরাবাদের হয়ে ২৮ রানে ৩টি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। ৩৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন ইশান মালিঙ্গা। ১টি করে উইকেট নেন জয়দেব উনাদকাট, হার্ষাল প্যাটেল, হর্ষ দুবে ও নীতীশ রেড্ডি। ম্যাচের সেরা হন ইশান কিষান।