আজকের সময়ে, অভিভাবকত্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং এবং দায়িত্বশীল কাজ হয়ে উঠেছে। পরিবর্তিত সময়ে, প্রযুক্তির দ্রুত গতি এবং শিশুদের মনস্তত্ত্বের পরিবর্তনের সাথে সাথে, অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের কেবল পড়াশোনায়ই ভালো করা নয়, বরং মানসিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবেও শক্তিশালী করে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। আজকের পৃথিবীতে, কেবলমাত্র সেই শিশুরাই সফল হতে পারে যাদের পূর্ণ আত্মবিশ্বাস, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, সেইসাথে আবেগগত বোধগম্যতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে। আপনার সন্তান যাতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, তার জন্য অভিভাবকত্বের সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা অভিভাবকত্ব সম্পর্কিত কিছু বিশেষ টিপস জানি যা আপনার সন্তানের অগ্রগতিতে সাহায্য করবে।
শিশুর সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন
আধুনিক অভিভাবকত্বের প্রথম শর্ত হলো, বাবা-মায়েদের তাদের সন্তানদের সাথে যোগাযোগ শক্তিশালী করা উচিত। তোমার আর তোমার বাচ্চাদের মধ্যে এমন একটা বন্ধন তৈরি করো যাতে বাচ্চা তোমাকে সবকিছু খোলাখুলি বলতে পারে। এছাড়াও, আপনার দৈনন্দিন রুটিনে কিছুটা সময় বের করে বাচ্চাদের সাথে কথা বলুন। এই সময়, তার মনের কথা শুনুন, তার স্কুল এবং বন্ধুদের সম্পর্কে তার সাথে কথা বলুন। যদি শিশুর কোন সমস্যা থাকে তাহলে তা বোঝার চেষ্টা করুন এবং সমাধান করুন। যখন আপনি বাধা না দিয়ে শিশুর কথা শোনেন এবং শান্তভাবে বসে তাদের বিভ্রান্তি দূর করেন, তখন শিশুর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল জগৎকে বুদ্ধিমানের সাথে আলিঙ্গন করুন
আজকের শিশুরা মোবাইল, ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটের জগতে জন্মগ্রহণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে, তাদের এই সমস্ত জিনিস থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে রাখা সম্ভব নয়, তবে শিশুকে অবশ্যই এই জিনিসগুলি বুদ্ধিমানের সাথে ব্যবহার করতে শেখানো যেতে পারে। বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের স্ক্রিন টাইমকে ভারসাম্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে শেখানো। অনলাইন নিরাপত্তা, উপযুক্ত বিষয়বস্তু এবং ডিজিটাল নীতিশাস্ত্র সম্পর্কেও খোলামেলা কথা বলুন। তোমার মোবাইল, টিভি এবং ল্যাপটপও সীমাবদ্ধতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত কারণ মনে রাখবে যে শিশু তোমাকে দেখেই জিনিস শেখে।
আপনার সন্তানকে স্বাধীন করুন
আপনার সন্তান যাতে সফল এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে বেড়ে ওঠে, তার জন্য শৈশব থেকেই তাকে স্বাধীনভাবে গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আপনি শিশুকে ছোট ছোট দায়িত্ব দিতে পারেন। যেমন তোমার ব্যাগ গোছানো, তোমার পোশাক বেছে নেওয়া অথবা টেবিলে খাবার রাখা। একটি শিশু সহজেই অনেক কিছু শিখতে পারে। এতে করে শিশু তার কাজ নিজেই করতে শিখবে এবং ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, এটি তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলে এবং তারা নিজেরাই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে শেখে। এই গুণটি পরবর্তীতে তাদের পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে সাফল্যের ভিত্তি হয়ে ওঠে।
শিশুর আগ্রহ জানুন এবং তাকে অনুপ্রাণিত করুন
প্রতিটি মানুষের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ থাকে। অথবা আপনি বলতে পারেন যে প্রত্যেকের আগ্রহের ক্ষেত্র আলাদা। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার সন্তানের আগ্রহ কী তা বুঝুন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি তার আগ্রহের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে তাকে অনুপ্রাণিত করুন। যখন শিশু তার আগ্রহের ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করে, তখন তার সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ইতিবাচকতার সাথে শৃঙ্খলার পাঠ শেখান
এখন সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন শিশুদের বকাঝকা করে সভ্যতার পাঠ শেখানো হত। আজকের সময়ে, বাচ্চাদের বকাঝকা করে কিছুই শেখানো যায় না। এখনই সময় শিশুদের ভালোবাসা এবং ইতিবাচকতার সাথে ব্যাখ্যা করে শৃঙ্খলার পাঠ শেখানোর। যখন কোন শিশু ভুল করে, তখন চিৎকার করে বা রেগে যাওয়ার পরিবর্তে, তাকে তার ভুলগুলো ভালোবাসার সাথে এবং শান্তভাবে ব্যাখ্যা করুন। তার আবেগকে সম্মান করুন। এর মাধ্যমে, শিশুটি নিরাপদ বোধ করবে এবং ইতিবাচকতার সাথে তার ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাবে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।