‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে কেঁপে যায় পাকিস্তানের মাটি। আর তার জেরা সীমান্তের ওপার থেকে এপারে গোলাবর্ষণ করেছিল। তার আঘাতে আহত হয়েছেন অনেকে। তবে বেশিরভাগটাই আটকে দেয় সেনাবাহিনী। এবার আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ পুঞ্চে যাচ্ছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তবে নিহত এবং আহতের পরিবারের পাশে সবার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল আসে। শ্রীনগর, পুঞ্চে, রাজৌরি ঘুরে দেখেন। এখানের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসেন নেতারা।
এখানে আহত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে সেদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনেন তাঁরা। তৃণমূল কংগ্রেস সবার আগে এসেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল গতকাল আসে রাজৌরিতে। আজ শনিবারও সেখানে পরিদর্শন করেন তাঁরা। এখানে পাকিস্তানের গোলাগুলির জেরে নিহত সরকারি অফিসার ডাঃ রাজকুমার থাপার বাড়িতে গিয়ে নীরবতা পালনের পাশাপাশি পরিবারকে সমবেদনা জানান। আহতদের দেখতে তাঁরা রাজৌরির গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে যান। সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে আহতের নিয়ে কথা বলেছেন। দেখা করেন আহতদের সঙ্গে। ভয়াবহ সেই দৃশ্য শুনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘নিরীহ মানুষের উপর পাকিস্তানের এমন হামলা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দলনেত্রীকে এই নিয়ে রিপোর্ট দেব।’
আরও পড়ুন: ‘যদি সন্ত্রাস পাগলা কুকুর হয়, পাকিস্তান তাকে লালন করছে’, টোকিওতে অভিষেকের বার্তা
ইতিমধ্যেই বিদেশ সফরে গিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টোকিওয় পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছেন তিনি। আর কাশ্মীরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল এসেছে। এখানে পরিদর্শন করে ভয়াবহ দিনের কথা শুনেছেন তাঁরা। এই বিষয়ে মানস ভুঁইয়ার বক্তব্য, ‘নিরীহ মানুষজন চুপ করে গিয়েছে। আতঙ্কে মুখ থেকে কথা সরছে না। ওদের পাশে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বার্তা দিতেই আমাদের এই সফর।’ এখানের সাধারণ মানুষজনের কথা শুনে শিউরে উঠেছেন সকলে। কত কঠিন পথ ধরে জীবনযাপন করতে হয় তাঁদের।
তবে আজ টোকিওতেই প্রবাসীদের সামনে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিবরণ তুলে ধরেন অভিষেক। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ‘২২ এপ্রিল কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছিল। তারপরও পাকিস্তানকে দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। গত ৭ মে ভারতের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর অভিযান করা হয়। সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে একজন নাগরিকের ক্ষতি না করেও পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়।’