শুধুমাত্র পাকিস্তানে অভিযান চালানোই নয়, বিপাকে পড়া বিমানকে সাহায্য করাতেও নিজেদের দায়িত্ব পালন করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সাম্প্রতিক ইন্ডিগো কাণ্ডে এমনটাই জানা গেল। গত ২১ মে-র সেই বিভীষিকাময় উড়ানটিকে নিরাপদে অবতরণ করতে সাহায্য করেছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, লাহোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ইন্ডিগোর উড়ানটিকে তাদের আকাশসীমায় ঢুকতে না দেওয়ার পর সেটি শ্রীনগরের দিকে এগোতে শুরু করে এবং এরপর থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের সাহায্য করে। ইন্ডিগো বিমানটিকে প্রয়োজন মতো কন্ট্রোল ভেক্টর এবং গ্রাউন্ডস্পিড রিডআউট দেওযা হয়েছিল। এদিকে বায়ুসেনাও নিশ্চিত করেছে, এই দুর্যোগের সময় পাইলটরা একাধিক সতর্কবার্তা পাচ্ছিল বিমান থেকে। (আরও পড়ুন: দিল্লি-শ্রীনগর উড়ানের দুই ইন্ডিগো পাইলটকে 'গ্রাউন্ড' করল DGCA, ওদিকে প্রশংসা মন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: নিজের সংস্থাকে একের পর এক সুবিধা, নোবেলজয়ী ইউনুস এখন 'ভিলেন' বাংলাদেশে!
এদিকে এই সবের মাঝেই এবার পাকিস্তানি বিমানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করা হল ২৩ জুন পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছি। ভারতও পাকিস্তানি বিমান চলাচলের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে এহেন গুরুতর পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের তরফ থেকে মানবিকতা দেখানো হবে বলেই হয়ত আশা করেছিলেন ইন্ডিগোর পাইলট। তাই অসহায় হয়ে তিনি লাহোরের এটিসির দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে পাকিস্তান নিজেদের 'আসল রূপ' দেখিয়ে দেয়।
এদিকে সেই উড়ানের দুই পাইলটকে আপাতত 'গ্রাউন্ড' করল ভারতের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) এক বিবৃতিতে প্রকাশ করে জানিয়েছে, সেদিন শ্রীনগরগামী সেই এয়ারবাস এ৩২১ নিও বিমানটি প্রতি মিনিটে ৮,৫০০ ফুট বেগে নীচে নামছিল। যা স্বাভাবিক অবতরণের হারের চেয়ে চারগুণ বেশি। ঝড়ের ভিতরে আটকা পড়ার সময় একাধিক ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে বিমানটি উচ্চতা হারাতে শুরু করে। এদিকে বিমানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার জন্য পাইলটরা যখন লড়াই শুরু করেছিলেন, সেই সময় তারা ওভারস্পিড পরিস্থিতি সম্পর্কে একযোগে সতর্কতা পেতে শুরু করেছিলেন।