দিল্লি সরকার শুক্রবার কোভিড -১৯ রোগ সম্পর্কিত একটি পরামর্শ জারি করেছে। দেশের রাজধানীর হাসপাতালগুলিতে বেড, অক্সিজেন, ওষুধ এবং ভ্যাকসিন যাতে যথাযথভাবে পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য বলেছে।
শুক্রবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন যে শহরে ২৩ টি নতুন কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে, রোগীরা শহরের বাসিন্দা কিনা বা ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করতে সরকার সংক্রমণের সম্পর্কে বিশদে যাচাই করে দেখছে।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চিন, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সমস্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য সমস্ত কোভিড-১৯ পজিটিভের নমুনা লোক নায়ক হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালগুলোকে বেড, অক্সিজেন, অ্যান্টিবায়োটিক, অন্যান্য ওষুধ ও টিকা যথাযথ রয়েছে কি না তার প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। ভেন্টিলেটর, বাই-প্যাপ, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং পিএসএ-র মতো সমস্ত সরঞ্জাম অবশ্যই কার্যকর অবস্থায় থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে যে সমস্ত পরামিতিগুলির দৈনিক প্রতিবেদন অবশ্যই দিল্লি রাজ্য স্বাস্থ্য ডেটা ম্যানেজমেন্ট পোর্টালে আপডেট করতে হবে।
ভারতে কোভিড কেস
ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে হালকা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সারা দেশে মোট ২৫৭ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
মহারাষ্ট্রে ৫৬ জন এবং তামিলনাড়ুতে ৬৬ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ ধরা পড়েছে পুদুচেরি, দিল্লি, গুজরাট, রাজস্থান, সিকিম, হরিয়ানা, কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গেও।
শুক্রবার কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, মে মাসে রাজ্যে ২৭৩ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। কোট্টায়ামে ৮২, তিরুবনন্তপুরমে ৭৩, এর্নাকুলামে ৪৯, পাথানামথিট্টায় ৩০ জন এবং ত্রিশূরে ২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার, হরিয়ানায় চারটি নতুন কোভিড কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, যা হালকা বলে জানা গেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরতি সিং রাও আশ্বাস দিয়েছেন যে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই এবং রাজ্য সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
১৯ মে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল রিলিফ ডিভিশন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হসপিটালের বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর জেনারেলের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন।
বৈঠকে বলা হয়, ভারতের বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০২৫ সালের ১৯ মে পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৭, যা দেশের বিশাল জনসংখ্যার বিবেচনায় খুবই কম। এই কেসগুলির প্রায় সবই মৃদু, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।