চলতি আইপিএলে পরিচিত ছন্দে নেই ঋষভ পন্ত। তবে ইতিমধ্যেই একটি হাফ-সেঞ্চুরি করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন লখনউ দলনায়ক। নিজের পুরনো দল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে নিশ্চিতভাবেই ভালো কিছু করে দেখাতে মরিয়া ছিলেন ঋষভ পন্ত। তবে তিনি সেই সুযোগ পেলেন না।
তবে পন্তের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে স্পষ্ট যে, লখনউ শিবিরে তিনি এই মুহূর্তে কোণঠাসা। তিনি ক্যাপ্টেন হলেও, সব কিছু যে তাঁর সিদ্ধান্ত মতো চলছে না, সেটা স্পষ্ট হয়ে যায় মঙ্গলবার।
দিল্লির বিরুদ্ধে হোম ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ওপেনিং জুটিতে ৮৭ রান তুলে ফেলে লখনউ। শেষে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে সাজঘরে ফেরেন এডেন মার্করাম। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ৫২ রান করে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুন:- রোহিত-কোহলি-জাদেজা অবসরে, IPL-এ চমক দেখিয়ে T20 World Cup 2026-এর দলে ঢুকতে পারেন কারা?
মার্করাম সাজঘরে ফেরার পরে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন নিকোলাস পুরান। তিনি মাত্র ৯ রান করে আউট হয়ে বসেন। শক্ত ভিত তৈরি থাকলেও লখনউয়ের হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেননি ঋষভ পন্ত। বদলে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন আবদুল সামাদ। সামাদ ২ রান করে আউট হওয়ার পরে পাঁচ নম্বরে লখনউ মাঠে নামায় ডেভিড মিলারকে।
অপর ওপেনার মিচেল মার্শ ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৪৫ রান করে আউট হলে লখনউ ছয় নম্বরে ব্যাট করতে পাঠায় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আয়ুষ বাদোনিকে। শেষে ১৮.২ ওভারে বাদোনি আউট হওয়ার পরে ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন পন্ত। তখন বাকি ছিল মোটে ২টি বল। পন্ত ২ বলে কোনও রান না করেই বোল্ড হয়ে যান।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পন্ত শুরু থেকেই প্যাড পরে তৈরি ছিলেন। লখনউ একে একে অন্য ব্যাটারদের যখন মাঠে নামাচ্ছে, তখন ডাগ-আউটের পাশে ব্যাট নিয়ে অত্যন্ত বিরক্তির সঙ্গে পায়চারি করতে দেখা যায় পন্তকে। তাঁকে যারপরনাই হতাশ দেখায়। তাঁর বডি ল্য়াঙ্গুয়েজে সেই হতাশা ঝরে পড়ে। বোঝাই যাচ্ছিল যে, পন্ত ব্যাট করতে চাইছিলেন, তবে টিম ম্যানেজমেন্ট ক্যাপ্টেনকেই ব্যাট করতে নামাচ্ছিল না।
পন্তের এমন বিরক্তি দেখে কমেন্ট্রি বক্সে প্রশ্ন তোলেন অনিল কুম্বলে। তিনি প্রকারান্তরে দাবি তোলেন যে, এটা কোচ ল্যাঙ্গার বা মেন্টর জাহির খানের সিদ্ধান্ত হতে পারে। কেননা পন্তকে দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে, তিনি ব্যাট করতে নামতে চাইছেন।
প্রথমে রায়না বলেন, ‘পন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসকে ভালোভাবে চেনে। ও গতবার ওদের ক্যাপ্টেন ছিল। চেনা দলের বিরুদ্ধে এটাই পন্তের কাছে ফর্মে ফেরার সেরা সুযোগ ছিল। সামাদের জায়গায় পন্তকে নামালে লখনউ আরও ভালো পরিস্থিতিতে থাকত। কেননা পন্ত সেরকমই খেলে।’
ঠিক তার পরেই কুম্বলে বলেন, ‘দেখতে হবে এটা কার সিদ্ধান্ত। কেননা পন্তকে অত্যন্ত হতাশ দেখাচ্ছে। ও ব্যাট করতে যেতে চাইছে। ও দলের ক্যাপ্টেন। এটা কোচ ল্যাঙ্গার নাকি মেন্টর জাহিরের সিদ্ধান্ত?’