পথ দুর্ঘটনা রুখতে সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়ে থাকে। তারপরেও দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিছুদিন আগেই দুর্ঘটনা কমাতে বাসে বিশেষ ধরনের আয়না বসিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে এর জন্য শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসন, পরিবহণ দফতর বা বাস মালিকদের সচেতন হলেই চলবে না চালকদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাই এবার বাস চালকদের মনোবিদদের দিয়ে কাউন্সেলিং করানোর প্রস্তাব দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পার্ক স্ট্রিটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! ডিভাইডারে ধাক্কা বাসের, শূন্যে সামনের দুই চাকা
বুধবার ধর্মঘট নিয়ে বাস মালিকদের সঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তোলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এ বিষয়ে বাস মালিকরা যাতে নিজেরাই উদ্যোগী হন, সেই আর্জি জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী। বাস মালিকদের সংগঠন পরিবহণ মন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে। তবে তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রী সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
পরিবহণ মন্ত্রীর মতে, সরকারি উদ্যোগে এই কাউন্সেলিং করাতে গেলে সেক্ষেত্রে রাজ্যের পরিবহণ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সংগঠনগুলিকেই এই ধরনের প্রয়াসে উদ্যোগী হতে বলেন তিনি। মন্ত্রীর মতে, পথ দুর্ঘটনা কমাতে গেলে শুধু পরিবহণ দফতর, ট্র্যাফিক পুলিশ বা বাস মালিকদের উদ্যোগী হলেই চলবে না, বাসচালকদেরও সচেতন হতে হবে। তাই তাঁদের কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন বলে মনে করেন মন্ত্রী।
এর আগে বিষয়টি উঠেছিল গত ৭ মে বাস মালিকদের বৈঠকে। সেই বৈঠকে পরিবহণ মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন, পরিবহণ সচিব এবং খড়গপুর আইআইটির পথ দুর্ঘটনা বিষয়ক গবেষকরা। সেখানে বাস চালকদের মনোচিকিৎসার প্রয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পরিবহণ মন্ত্রীর এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে বাস মালিকদের একাধিক সংগঠন। তারাও মনে করেন, দুর্ঘটনা কমাতে বাসচালকদের কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তবে এর জন্য জেলায় স্তরে পরিবহণ দফতরের আরটিও, এআরটিও ও ট্রাফিক পুলিশ বিভাগকে সহযোগিতা করতে বলেছেন তাঁরা।
আবার অন্য একটি সংগঠন এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানালেও বাস বসিয়ে রেখে চালকরা কতটা এতে আগ্রহী হবেন, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। ওই অংশের বক্তব্য, এটা ভালো উদ্যোগ। তবে বাস চালকরা দৈনিক ভিত্তিতে রোজগার করেন। ফলে একদিন বসে যাওয়ার মানে হল যে তাঁদের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়া। তাই কাউন্সেলিংয়ের দিন যেন রাজ্য সরকার বাসচালকদের ভাতা দেয় সেই প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।