আইপিএলের অনেক দলকেই টুর্নামেন্টের কোনও একটি ম্যাচে অন্য রংয়ের জার্সি পরে মাঠে নামতে দেখা যায়। সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে অংশ নিতেই বিশেষ রংয়ের জার্সি পরে খেলতে দেখা যায় আইপিএলের দলগুলিকে। আরসিবি সবুজায়নের বার্তা দিতে প্রতি বছরই একটি আইপিএল ম্যাচ খেলে সবুজ জার্সি পরে। নাহলে বেঙ্গালুরুর আইপিএল জার্সির রং লাল। ঠিক তেমনই গুজরাট টাইটানস তাদের ১টি আইপিএল ম্যাচ খেলে ল্যাভেন্ডার জার্সিতে।
সাধু উদ্যোগে সামিল হয়েই গুজরাট টাইটানস একটি আইপিএল ম্যাচে তাদের চির পরিচিত নেভি ব্লু জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ল্যাভেন্ডার রং সব ধরণের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, মারণরোগ ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের পাশে থাকা ও সচেতনতার বার্তা দিতেই টাইটানস শিবিরের এই উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৫-এর ম্যাচে ল্যাভেন্ডার জার্সি পরে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন শুভমন গিলরা। গুজরাটের এটি লিগের ১৩ নম্বর ম্যাচ। ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়া গুজরাট চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে ঘরের মাঠ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেই।
বৃহস্পতিবার টসের আগে লখনউ দলনায়ক ঋষভ পন্তের সঙ্গে ল্যাভেন্ডার রিবন বিনিময় করতেও দেখা যায় শুভমন গিলকে। এমন বিশেষ ম্যাচে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় গুজরাট দলনায়কের। টস জিতে শুভমন গিল শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান প্রতিপক্ষ দল লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। যদিও লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্ত স্পষ্ট জানান যে, তিনিও টস জিতলে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন।
গুজরাট টাইটানসের প্রথম একাদশ
শুভমন গিল (ক্যাপ্টেন), জোস বাটলার (উইকেটকিপার), শেরফান রাদারফোর্ড, শাহরুখ খান, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, আরশাদ খান, কাগিসো রাবাদা, আর সাই কিশোর, মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণা।
গুজরাট টাইটানসের ইমপ্যাক্ট পরিবর্তের বিকল্প
সাই সুদর্শন, অনূজ রাওয়াত, মহীপাল লোমরোর, ওয়াশিংটন সুন্দর ও দাসুন শানাকা।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রথম একাদশ
মিচেল মার্শ, এডেন মার্করাম, ঋষভ পন্ত (ক্যাপ্টেন ও উইকেটকিপার), নিকোলাস পুরান, আয়ুষ বাদোনি, আবদুল সামাদ, হিম্মত সিং, শাহবাজ আহমেদ, আবেশ খান, আকাশ দীপ ও উইল ও'রোর্ক।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের ইমপ্যাক্ট পরিবর্তের বিকল্প
আকাশ সিং, এম সিদ্ধার্থ, রবি বিষ্ণোই, ডেভিড মিলার ও অর্শিন কুলকার্নি।