ঐতিহ্যবাহী লা মার্টিনিয়ার বয়েজ এবং গার্লস স্কুলে সংস্কার এবং নির্মাণকাজ নিয়ে পুরসভার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, হেরিটেজ কমিশনের অনুমতি ছাড়া ওই স্কুলে কোনও সংস্কার বা নির্মাণ কাজ করা যাবে না। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভাও স্কুল কর্তৃপক্ষকে হেরিটেজ কমিশনের অনুমতি নিতে বলেছিল। মামলায় উভয়পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত।
আরও পড়ুন: সংরক্ষণের গেরোয় বিভ্রাট মেডিক্য়ালের ভর্তিতেও, কীভাবে কী করতে হবে, বোঝাল হাইকোর্ট
প্রতিষ্ঠানের ১৮০ বছরের পুরনো ভবনটি ‘গ্রেড ১’ হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত। এর চিহ্ন হিসাবে সেখানে ঐতিহ্যবাহী নীল ফলক বসিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু, হেরিটেজ হওয়া সত্ত্বেও স্কুলে সংস্কারের কাজ শুরু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা স্কুল পরিদর্শনে যান। তারপরেই কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয় কেএমসি। পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভবনটি যেহেতু ঐতিহ্যবাহী, তাই হেরিটেজ কমিশনের অনুমতি ছাড়া সংস্কার বা নির্মাণ কাজ করা যাবে না। এই মর্মে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠায় কলকাতা পুরসভা। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে লা মার্টিনিয়ার বয়েজ এবং গার্লস স্কুলের কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
যদিও স্কুলের দাবি ছিল, পড়ুয়াদের স্বার্থে কিছু অংশ সংস্কারের প্রয়োজন। তবে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এটা কারও বাড়ি নয় বা সাধারণ স্কুল নয়। এটা শহরের ঐতিহ্যের অঙ্গ। বিচারপতি আরও জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাজের বিরোধিতা করা হচ্ছে না। শুধু হেরিটেজ কমিশনের কাছে অনুমতি নিতে বলা হচ্ছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়, ২০১৭ সালে সংস্কারের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ হেরিটেজ কমিশনের কাছে অনুমতি নিয়েছিল। তবে এবার অনুমতি ছাড়াই কাজ করতে চাইছেন তাঁরা।
স্কুলের সংস্কারের কাজে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট উভয় পক্ষকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এরপর এবিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ওই দুটি স্কুলের ভবন ঐতিহ্যবাহী হওয়ায় হেরিটেজ কমিশনের অনুমতি ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়।