আবার সংবাদে জায়গা পেলেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। আর এবার বেশ জটিলতায় জড়ালেন তিনি। কলকাতা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকা মেটানো হয়নি বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলার শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা কলকাতা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মদন মিত্র–সহ কয়েকজন অফিসারের বিরুদ্ধে রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই রুল জারি করেছেন। তাতে মদন মিত্র, রাজ্যের অর্থসচিব, কলকাতা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টেরকে আগামী ৪ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা কেন মেটানো হয়নি? এই প্রশ্নের উত্তর আদালতে জানাতে হবে বলে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী কেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না সেটারও ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সুতরাং এই বিষয়টিতে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি।
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় সতর্ক পাহারা ছিল’, বড় তথ্য দিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান
এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে কলকাতা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে। কারণ এখানের কর্মচারীদের জন্য এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্ট আছে। আর এখানে প্রত্যেক মাসে কর্মচারীদের বেতনের একটা অংশ কেটে জমা করা হয়। যাতে অবসর নেওয়ার পর আর্থিক সুবিধা পান কর্মচারীরা। সেখানে কলকাতা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের অভিযোগ, অবসরের পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না। আর তাই ২০২৪ সালে এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০২৪ সালেই কলকাতা হাইকোর্ট জুলাই মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপরও হাতে টাকা আসেনি। তাই আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করার জন্যই এবার রুল জারি করা হয়েছে। যা নিয়ে এখন বাড়তি চাপ তৈরি হল। একদিকে সশরীরে হাজির হয়ে জানাতে হবে টাকা না দেওয়ার কারণ। অপরদিকে আদালত অবমাননার জন্য ভর্ৎসনা শুনতে হবে। এবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় সরাসরি জানতে চান, কেন ওই টাকা এখনও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মেটানো হয়নি? আর তাররপরই মদন মিত্র–সহ তিনজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী হবে ৪ জুলাই। তখন মদন মিত্র এবং দুই অফিসারকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।