এক গৃহবধূকে ফাঁকা মাঠে জোর করে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বাংলার বুকে আবার ধর্ষণের ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা এলাকায় এখন এটাই চর্চিত বিষয়। একজন গৃহবধূর উপর এমন নির্মম অত্যাচারে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে অনেকে। কেন ওই বধূকে গণধর্ষণ করা হল? কারা এই কুকর্ম করেছে? তা ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পুলিশ সব বের করে ফেলেছে। তাই ইতিমধ্যেই সমস্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে ওই বধূকে গণধর্ষণ করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সহ চার অভিযুক্তকে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গাইঘাটা এলাকায় ওই গৃহবধূকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর উপর নির্যাতন করা হয়। এই নির্যাতনের পর ওই বধূকে ফাঁকা মাঠে ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ওই বধূকে টোপ দেওয়া সহজ হয়েছিল। সেই টোপে পা দিতেই সর্বনাশ হয় ওই বধূর। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। ধৃতদের আজ শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুন: আবার নিজস্ব ফর্মে ফিরল রামলাল! দুলকি চালে রাজ্য সড়কে চষে বেড়াল গজরাজ
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের আগে ওই যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ছিল তরুণ গাইন নামে যুবকের। কিন্তু তরুণের সঙ্গে শেষমেশ বিয়ে হয়নি ওই যুবতীর। ব্রেকআপ হয়ে যায়। আর ওই যুবতীর অন্যত্র বিয়ে দেয় পরিবার। তবে বিয়ের পরও মাঝেমধ্যে তাঁদের দেখা হয়েছিল। এরপর গত ৬ মে ওই যুবতী বধূকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠায় তরুণ। ওই গৃহবধূ প্রাক্তন প্রেমিকের ডাকে সাড়া দেয়। কিন্তু ওই বধূ গিয়ে দেখেন একা তরুণ নয় তার বন্ধু অভিজিৎ পাল, রাজা সাহা এবং তপব্রত ঢালি আরও তিনজন যুবক রয়েছে। তারা সম্পর্কে তরুণের বন্ধু। তারপর কথা বলার অছিলায় স্বরূপনগরের ফাঁকা মাঠে ওই বধূকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে তদন্ত নেমে গ্রেফতার করা হয়।