মাঝে শরীরটা খারাপ ছিল। এখন সুস্থ হয়েছে। আর তারপরই নিজস্ব ছন্দে ফিরে এল রামলাল। একেবারে বাদশাহী মেজাজে রাজপথে বেরিয়ে পড়েছে সে। দুলকি চালে রাজ্য সড়ক চষে বেড়ানো থেকে শুরু করে যা সামনে পাচ্ছে খেয়ে নিচ্ছে সে। কাউকে পরোয়া করছে না। গাড়ি–সহ অন্যান্য স্থায়ী কাঠামোয় শুঁড় বুলিয়ে চলে যাচ্ছে। আর খাবারের সন্ধান করছে। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় সড়কে। তারপরে নিজের মেজাজ ধরে রেখেই পাশের একটি আমবাগানে চলে যায়। এই দেখে অনেকে আবার মোবাইলে ছবি তোলেন।
এই রামলাল আসলে গজরাজ। শান্ত স্বভাবের রামলাল ঝাড়খণ্ড থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, খড়গপুর–সহ নানা গ্রামীণ এলাকায় এই গজরাজের অবাধ যাতায়াত। রামলাল সচরাচর কাউকে আক্রমণ করে না। তাই অনেকে সাহস করে হাতিকে পাশে ফেলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। তারপর একে একে সব গাড়ি বেরিয়ে গেল। কেটে গেল যানজট। কারণ গজরাজ রামলাল রাজপথ থেকে আমবাগানে ঢুকে গিয়েছে। শুক্রবার এই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। ঝাড়গ্রাম লোধাশুলি রাজ্য সড়কের জিতুশোল এলাকায়।
আরও পড়ুন: সাপে কামড়ালো কিশোরকে, মোবাইল গেমে ব্যস্ত থাকায় ভুলে গেল, মুর্শিদাবাদে কী ঘটল?
রাস্তায় হাতি উঠে আসায় সবাই তখন স্তম্ভিত। আর পর পর দাঁড়িয়ে পড়েছে বাস, লরি এবং অন্যান্য গাড়িগুলি। এই গজরাজ রামলাল আমবাগানে ঢুকে যাওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই রামলাল মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। বন দফতরের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করে সুস্থ করেছেন। তারপরই সে বেরিয়ে পড়েছে। তবে চলে এসেছিল লোকালয়ে। রামলাল হাতি সুস্থ হতেই নিজের ফর্মে ফিরে এসেছে! সম্প্রতি শালবনী এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি পর্যটক বাসের সামনে পৌঁছে যায় খাবারের সন্ধানে।
পরে রামলাল খাবার পেয়ে যাওয়ায় ওই পর্যটক বাসের সামনে থেকে চলে যায়। আবার গ্রামের বাড়ির সামনে চলে যাওয়া এবং সেখান থেকে খাবার পেতেই জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার ঘটনাও শোনা যায়। শান্ত স্বভাবের এই হাতি নানা গ্রামীণ এলাকায় অবাধে বিচরণ করে। বন দফতরের বক্তব্য, এই হাতি রামলাল রাজ্য সড়কে উঠলেও বেশি সময় সেখানে ছিল না। হাতি রাস্তায় বেরিয়েও কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। বরং মানুষজনকে আনন্দ দিয়েই নিজের ভূমে ফিরে যায়।