মাছির উপদ্রবে জেরবার বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করলেন! যার জেরে প্রায় আধঘণ্টা আটকে থাকল ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক! তীব্র গরম আর ঘামে ভেজা জবজবে শরীর নিয়ে ছোট, বড় নানা গাড়িতে ঠায় বসে থেকে দুর্ভোগ পোহালেন যাত্রীরা।
বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে - বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া-১ ও ছাতনা ব্লকের মধ্যবর্তী কাশিবেদিয়া অঞ্চলে। এখানকার কাশিবেদিয়া, পড়্যাশোল, তেঘরি, দলদলি, জগন্নাথপুর, ঘোড়গড়িয়্যা-সহ এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পরে অবশ্য পুলিশ এসে সেই অবরোধ তুলে দেয়। তখন অবরোধকারীরা স্থানীয় একটি হ্যাচারির সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, এই এলাকায় বেশ কয়েকটি হ্যাচারি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই হ্যাচারিগুলির জন্যই এলাকায় মাছির উপদ্রব বেড়েছে। কিন্তু, বাসিন্দাদের এই অসুবিধা নিয়ে হ্যাচারি মালিকদের মধ্যে না কোনও হেলদোল রয়েছে, না প্রশসনের এদিকে নজর রয়েছে! সেই কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এদিন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন ভুক্তভোগীরা। যদিও তাতে সমস্যা মিটবে কিনা বলা মুশকিল।
তবে স্থানীয় একটি হ্য়াচারির এক কর্মী জানিয়েছেন, একমাত্র ওষুধ ব্যবহার করেই মাছির উপদ্রব কমানো যেতে পারে। সেটা করা যায় কিনা ভেবে দেখা হবে। ওই হ্যাচারিকর্মী আরও জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সেদিকে তাঁরা খেয়াল রাখবেন।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ ঘোষ দাবি করছেন, এই হ্য়াচারিগুলি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কাটমানি পান। তাই, পুলিশ প্রশাসন হ্যাচারিগুলির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে না।
অন্যদিকে, সমস্যা যে রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন বাঁকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য হল - 'গত কয়েক বছর ধরে এই সমস্যা হচ্ছে। গ্রামের মানুষ আমাদের জানিয়েছে। কোথায় গাফিলতি রয়েছে, তা প্রশাসনিকভাবে দেখা হবে।'