অপেক্ষার অবসান, অবশেষে ভারতের বাজারে এসে গেল দূরপাল্লার রিভলভার, নাম রাখা হয়েছে প্রবাল। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা এই নতুন আগ্নেয়াস্ত্র আত্মপ্রকাশ করল ভারতে। এটিই প্রথম দেশের দূর পাল্লার রিভলভার। ৫-১০ মিটার নয়, ৫০ মিটার দূর থেকেই লক্ষ্য বস্তুকে টিপ করতে সমর্থ হবে প্রবাল। তেমনই মতামত সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের। ৭৬ মিমি ব্যারেলযুক্ত বন্দুকটির কার্তুজ ছাড়া ওজন ৭০০ গ্রামের কাছাকাছি , আর এই মোট দৈর্ঘ্য ১৭৭.৬ মিমি।
লাইসেন্স থাকা ব্যক্তিরা গতকাল অর্থাৎ ১৮ অগস্ট থেকে এই রিভলভারটির জন্য আবেদন করতে পারছেন। অস্ত্র আইন ১৯৫৯ অনুসারে ভারতীয় নাগরিকরা বোর (NPB) বন্দুক - পয়েন্ট থ্রি ফাইভ, পয়েন্ট থ্রি টু, পয়েন্ট টু টু এবং পয়েন্ট থ্রি এইট জিরো রাখার অনুমতি দেওয়া আছে।
(আরও পড়ুন: অবৈধভাবে সীমান্ত পার করে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি নাবালিকা, গ্রেফতার ৪)
তবে এই বন্দুকটি রাখার জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে সরকার। যে সকল ভারতীয় নাগরিক ব্যবসা বা পেশাগত কারণে এই বন্দুক রাখতে চান, কিংবা যারা আত্মরক্ষা বা সম্পত্তি রক্ষার্থে এই রিভলভারটি রাখার জন্য আবেদন করবেন, তারাই কেবল মাত্র অনুমতি পাবেন। কেবল এই শর্তগুলিই অবশ্য যথেষ্ট নয়। শুটিংয়ে পারদর্শী যেমন হতে হবে, তেমনই শুটিং ক্লাব বা রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যও হতে হবে তাকে। ২ বছরের কম সময় যাদের লাইসেন্স আছে, তারা আবেদন করতে পারবেন না প্রবাল সঙ্গে রাখার জন্য। তবে পুলিশ বা, প্রাইভেট গার্ডের মত পেশাগত ভাবে যারা প্রতিরক্ষার কাজে যুক্ত তারা সকলেই এই বন্দুকটি রাখতে পারবেন।
উত্তর প্রদেশের কানপুরের অ্যাডভান্সড ওয়েপন অ্যান্ড ইকুইপমেন্টস ইন্ডিয়া লিমিটেড দেশের প্রথম নতুন রিভলভার ‘প্রবাল’ প্রস্তুত করেছে। সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিটি সাধারণত ছোট অস্ত্র এবং আর্টিলারি বন্দুক প্রস্তুত করে। ২০২৩ সালের শুরুতেই এই কোম্পানিটি ৬ হাজার কোটি টাকার বরাত পায়। প্রবালের বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি হল, বন্দুকটির সাইড সুইং সিলিন্ডার দিয়ে ট্রিগার টানা যায়। ফায়ারিং রেঞ্জের দিক থেকেও এই বন্দুকটি অন্য সব রিভলভারকে হারা মানাবে।