বাংলায় এক বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে - 'আপনাকে বড় বলে বড় সে নয়,লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয় ...'। অর্থাৎ, যে নিজেকে বড় বলে, সে বড় হয় না। আর সেই কথাটাই যেন বাংলাদেশকে অক্ষরে অক্ষরে বোঝাল ভারত। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশ নিজেকে বঙ্গোপসাগরের 'গার্ডিয়ান' বলে আখ্যা দিয়েছিল। এই আবহে বিশাখাপত্তনমে ভারতের ভূগর্ভস্থ সাবেরিন ঘাঁটি তৈরির খবর প্রকাশ্যে আসে। আর সম্প্রতি বাংলাদেশের উত্তরে চিকেনস নেক এলাকার কাছে নাকি চিনকে ঘাঁটি বানানোর অনুমতি দিয়েছেন ইউনুস। এহেন পরিস্থিতে এবার বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভারতের রেল প্রকল্পের সব কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উলটে ভারত এবার নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে দিয়ে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগযোগ বৃদ্ধির উপায় খুঁজছে। (আরও পড়ুন: জলে কলকাতা পুলিশের ভাবমূর্তি, এবার ASI-এর থাপ্পড় কাণ্ডে শুরু তদন্ত)
আরও পড়ুন: 'ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের তোষণের রাজনীতি করছেন...'
রিপোর্ট অনুযায়ী, আখাউরা-আগরতলা ক্রস বর্ডার রেল লিঙ্ক, খুলনা-মোংলা পোর্ট রেললাইন ও ঢাকা-টংগি-জয়দেবপুর রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। দিল্লি দাবি করেছে, আপাতত শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই আপাত বন্ধ করা হয়েছে কাজ। এই আবহে বাংলাদেশের বদলে এবার নেপাল ও ভুটানের মধ্যে দিয়ে বিকল্প রাস্তা খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু করেছে রেল। (আরও পড়ুন: 'ন্যায়বিচার হবে', মার্কিন মুলুকে ধৃত খলিস্তানিকে নিয়ে বড় মন্তব্য FBI প্রধানের)
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উত্তর প্রদেশ ও বিহারের রেললাইনগুলিকে সম্প্রসারণ করে চিকেনস নেকের রুটকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে ভারত। চিকেনস নেক করিডরের বিকল্প খোঁজার জন্যে যাতে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে না থাকতে হয়, তার জন্যেই এই পথে হাঁটছে মোদী সরকার। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে ভারতের রেল প্রকল্পগুলি ছিল ৫০০০ কোটি টাকার। এতে বাংলাদেশের রেল পরিকাঠামো উন্নত হত। তবে এখন ভারত সেই সব প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের রেল পরিকাঠামো সেই আদ্যিকালেরই থেকে যাবে। এদিকে নেপাল ও ভুটানের মধ্যে দিয়ে বিকল্প পথ খুঁজে বের করছে ভারত। তাই বাংলাদেশের প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারতের বড় ধরনের কোনও কৌশলগত লোকসান হচ্ছে না। বরং এবার ভারত এমন দেশের মধ্যে দিয়ে বিকল্প রেলপথ বিছিয়ে দিতে পারবে, যারা সত্যিকার অর্থেই দিল্লির 'বন্ধু'। সেই আবহে সেই প্রকল্পের নিরাপত্তা নিয়েও ভারত নিশ্চিন্ত থাকতে পারবে।