জাহাঙ্গিরপুরীতে সন্ত্রাসী ধরা পড়ার ঘটনায় নয়া মোড়। জাহাঙ্গিরপুরী থেকে ধৃত দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে দিল্লি পুলিশের। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে যে তাদের সঙ্গে আরও পাঁচজন যুক্ত আছে। এই আবহে এই সন্ত্রাসবাদী ছকের সঙ্গে যুক্ত আরও ৪ সন্দেহভাজনকে খুঁজছে দিল্লি পুলিশ। তারা ‘ড্রপ-ডেড’ পদ্ধতির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পেয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সিগন্যাল অ্যাপে পাক হ্যান্ডলারদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছিল সেই চারজন। তারা উত্তরাখণ্ডের অজ্ঞাত এর স্থান থেকে অস্ত্র পেয়েছিল বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। (আরও পড়ুন: চিনা বাধার একবছর পর হাফিজ সইদের শ্যালককে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী তকমা UNSC-র)
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নওশাদ আলি এবং জগজিৎ সিং ওরফে ইয়াকুব নামক দুই জঙ্গিকে। কানাডা ভিত্তিক খালিস্তানি কট্টরপন্থী এবং লস্করের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই দুই জনের। তাদের জেরা করে একটি মৃতদেহের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। সেই দেহটির অন্তত আটটি টুকরো করা হয়েছিল। এক বিবৃতিতে দিল্লি পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, 'দুই সন্দেহভাজন নওশাদ এবং জগজিৎ সিং (ইউএপিএ-এর অধীনে গ্রেফতার) পুলিশি জেরায় খুনের কথা জানায়। তাদের বয়ানের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহটি ভালসওয়া ড্রেন (উত্তর দিল্লিতে) থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।' জেরায় নাকি নওশাদ এবং জগজিৎ সিং খুনের কথা স্বীকার করে। তারা জানায়, উত্তর দিল্লির ভালসওয়া এলাকায় এক ফাঁকা প্লটে সেই ব্যক্তিকে খুন করা হয়। জানা গিয়েছে, যেকোনও একজন ব্যক্তিকে হত্যা করে তার দেহকে একাধিক টুকরোতে কাটার জন্য এবং গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে তাদের হ্যান্ডলারদের কাছে ফরোয়ার্ড করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পায় জগজিৎ ও নওশাদ। তারা যে 'টার্গেট কিলিং' এর জন্য 'প্রস্তুত', তা প্রমাণ করার জন্যই এই ব্যক্তিকে হত্যা করার নির্দেশ এসেছিল বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি হ্যান্ডলাররা এই দুই জনকে উত্তরাখণ্ডের একটি জিপিএস লোকেশন পাঠিয়েছিল। সেখানে গিয়ে তারা অস্ত্র পেয়েছিল। তাদের কাছ থেকে দিল্লি পুলিশ দুটো হাত বোমা, তিনটি পিস্তল ও ২২টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, ডানপন্থী নেতাদের ওপর হামলার ছক ছিল তাদের। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই ধৃত জঙ্গির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এমন আরও পাঁচজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই পলাতক সন্দেহভাজনরা জগজিৎ এবং নওশাদকে বিস্ফোরক ও অস্ত্রের সরবরাহ করেছিল এবং টাকা সরবরাহ রয়েছিল। জানা গিয়েছে, মূল ষড়যন্ত্রকারীদের নির্দেশে এই দুজনের জন্য সব ব্যবস্থা করেছিল পলাতক ব্যক্তিরা। হাওলা চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের কাছে টাকা এসে পৌঁছেছিল। এদিকে এই হাওয়ালা চ্যানেলের সদস্যদেরও চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক