প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত একটি বিমান ভেঙে পড়ল গুজরাটের আমরেলি জেলায়। আজকের (মঙ্গলবার - ২২ এপ্রিল, ২০২৫) এই দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিমানচালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিমানটি একটি বেসরকারি উড়ান প্রশিক্ষণ সংস্থার। সেটি আমরেলির একটি বসত এলাকায় এদিন ভেঙে পড়ে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে বিমানটি একটি বড় গাছের উপর আছড়ে পড়ে। তারপর গাছের উপর থেকে পড়ে নীচের রাস্তায়। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ আমরেলি শহরের গিরিয়া রোডে ওই বিমানটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও কী কারণে সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, সেটা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি বলেই জানিয়েছেন আমরেলির পুলিশ সুপার সঞ্জয় খারাট।
জানা গিয়েছে, পাইলট একাই বিমানটি চালাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কোনও সহযোগী বা অন্য কোনও যাত্রী ছিলেন না। তবে, বিমানটি যে আমরেলি বিমানবন্দর থেকে উড়ান শুরু করেছিল, সেটা নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার। এই দুর্ঘটনায় যে চালকের মৃত্যু হয়েছে, তিনি আদতে শিক্ষানবীশ ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা।
তিনি বলেন, 'একজন পুরুষ ট্রেনি পাইলট আমরেলি বিমানবন্দর থেকে প্লেনটি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ওই বিমানটি একটি অ্যাভিয়েশন অ্যাকাডেমির বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেটি বিমানবন্দর থেকেই উড়ান শুরু করেছিল। কিন্তু, গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় একটি লোকালয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ওই ট্রেনি পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন লেগে যায়। ওই পাইলট ছাড়া এই দুর্ঘটনায় আর কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।'
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় থানা একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা রুজু করছে। সেই মতোই তদন্তের কাজও শুরু করা হবে। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, এই দুর্ঘটনার পরই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে লাগা আগুন নেভাতে দমকলে খবর পাঠানো হয়। স্থানীয় দমকলকেন্দ্র থেকে চারটি দল পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। একথা জানিয়েছেন ফায়ার অফিসার এস সি গাধভি।
তিনি জানিয়েছেন, 'ঘন বসত এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়লেও চালক বাদে আর কেউ আহত হননি বা আর কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কারণ, বিমানটি প্রথমে একটি বড় গাছে পড়েছিল। আমাদের চারটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারা ইতিমধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।'