শুক্রবার দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ইন্ডিগোর একটি বিমান শিলাবৃষ্টির কবলে পড়েছিল। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে পাইলট পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য লাহোর এটিএসের কাছে অনুমতি চয়েছিলেন, কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত পাইলট নিয়মিত রুটে বিমানটিকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করাতে সক্ষম হন। তবে দুর্যোগের জেরে বিমানের 'নাক' ভেঙে যায়। এই বিষয়টি নিয়ে এবার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ। এদিকে পাকিস্তান যে তাদের আকাশসীমায় ইন্ডিগোর বিমানটিকে ঢুকতে দেয়নি, তা স্বীকার করেছে ডিজিসিএ। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ কেন দেওয়া হয়েছিল? যুক্তি দিল IMF)
আরও পড়ুন: ক্ষমতার ভরকেন্দ্র টিকে থাকার শেষ মরিয়া চেষ্টা? বাংলাদেশ সেনাকে বার্তা হাসনাতের
উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইট ৬ই ২১৪২ খারাপ আবহাওয়ার কারণে হঠাৎই আকাশে 'টার্বুলেন্সে' পড়েছিল। এ সময় পাইলট পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য লাহোর এবং নর্দার্ন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। তবে যে পাকিস্তান সংঘাতের সময় 'ঢাল' হিসেবে যাত্রী বিমানগুলিকে ব্যবহার করেছে, তারাই ভারতের বিমানকে পাক আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়নি জরুরি অবস্থার মধ্যেও। এদিকে ডিজিসিএ জানিয়েছে, বিমানটি নিয়ে দিল্লি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন পাইলট। তবে ঝড়ের খুব কাছে থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। এদিকে বিমানে একসঙ্গে নানান যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গিয়েছিল। (আরও পড়ুন: ইউনুসের বিদায়বেলা ঘনিয়ে আসতেই দিল্লির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বাংলাদেশি উপদেষ্টা)
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে অবদান, সেই মহিলা অফিসারের চাকরির নিশ্চয়তা নেই! বড় নির্দেশ SC-র
আরও পড়ুন: মাকে তালাক দিয়েছিল বাবা, পাক গুপ্তচর তোফায়েল শরিয়ত চালু করতে চাইত ভারতে
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছি। ভারতও পাকিস্তানি বিমান চলাচলের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে এহেন গুরুতর পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের তরফ থেকে মানবিকতা দেখানো হবে বলেই হয়ত আশা করেছিলেন ইন্ডিগোর পাইলট। তাই অসহায় হয়ে তিনি লাহোরের এটিএসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এর আগে পাকিস্তানের নর্দার্ন কন্ট্রোলের কাছেও আবেদন জানিয়েছিল ইন্ডিগোর বিমানটি। তবে পাকিস্তান নিজেদের 'আসল রূপ' দেখিয়ে দেয়। (আরও পড়ুন: 'শুধু বাংলাদেশ কেন, সেভেন সিস্টারেরও বন্দর চট্টগ্রাম', হঠাৎ যেন সুর বদল ঢাকার!)
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিন, রাখাইন করিডোর জল্পনার মাঝে বাংলাদেশে পা US বাহিনীর! কী বলছে ভারত?
এদিকে ইন্ডিগোর এই বিমানেই ডেরেক ও'ব্রায়েন, নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মানস ভুঁইয়া এবং মমতা ঠাকুররা ছিলেন। এর মধ্যে সাগরিকা ঘোষ পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, 'প্রায় মৃত্যুর অভিজ্ঞতা হল। আমি তো ভেবেছিলাম জীবন শেষ হয়ে গেল। আশেপাশে সবাই চিৎকার করছিল, প্রার্থনা করছিল, আতঙ্কে ছিল।... পাইলটকে হ্যাট্স অফ যে ওই আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে নিয়ে এসেছেন। আমরা ল্যান্ড করার পর দেখি যে বিমানের সামনের অংশ ভেঙে গিয়েছে।'