সালটা ২০২৩। সেবার বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল 'খুফিয়া'। যে সিরিজে আরও একবার নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নজর কেড়েছিলেন তাব্বু। আর এই ছবিতেই তাব্বুর সঙ্গে চর্চায় উঠে আসেন আরও এক অভিনেত্রী। তিনি হলেন বাংলাদেশের বাঁধন। গুপ্তচরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ‘খুফিয়া’তে ‘অক্টোপাস’ ওরফে 'হিনা' হয়ে ধরা দেন তিনি। তবে এই ছবির কারণেই চর্চায় উঠে এসেছিল তাব্বু ও বাঁধনের চুম্বন দৃশ্য। ২৬ মে নিজের ফেসবুকের পাতায় আরও একবার সেই স্মৃতিতেই বুঁদ হলেন বাঁধন। সঙ্গে তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি এই সুযোগ কেউ ছাড়ে?
জানা যায়, এর আগে আরও বেশ কয়েকজনকে এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে সকলেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত রাজি হন বাংলাদেশের বাঁধন। পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে সেই বিষয়ে তাঁর কথোপকথনটিই ফেসবুকের পাতায় তুলে ধরেছেন ওপার বাংলার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
ঠিক কী লিখেছেন বাঁধন?
‘আমার এবং বিশাল ভরদ্বাজের মধ্যে একটি কথোপকথন’ এই ক্যাপশানেই সম্পূর্ণ বিষয়টি তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী।
বিশাল ভরদ্বাজ: আজমেরি, সবাই যখন না বলে দিন, তখন তুমি কেন এই ছবিতে কাজ করতে রাজি হলে?
আজমেরি (হাসি): স্যার, তাব্বুকে চুমু খাওয়ার সুযোগ কে মিস করবে? (আমরা দুজনেই হেসেছিলাম।) কিন্তু সত্যি বলতে, আমি আপনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। আমি একজন শিল্পী। আমার ভয় বা সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়। আমার চরিত্রটা ভালো লেগেছে।
বিশাল ভরদ্বাজ: আপনার দেশের অনেকেই রাজি হননি। কেউ আমাকে ‘জামাত’ শব্দটি মুছে ফেলতে বলেছেন, তো আবার কেউ আবার চুম্বনে রাজি হননি। আপনি কেন এই ঝুঁকি নিলেন?
আজমেরি: স্যার, আমি হোমোফোবিক নই। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকেরই নিজের মতো করে জীবনযাপন করার অধিকার আছে। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি - আমি চাই না জামাত বা কোনও চরমপন্থী গোষ্ঠী কখনও ক্ষমতায় আসুক।
বিশাল ভরদ্বাজ (হাসি): আমি এই চরিত্রের জন্য সঠিক ব্যক্তিকে বেছে নিয়েছি, আপনার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি খুব খুশি।
যদিও এই স্মৃতিচারণের কারণে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দেশের একাংশের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে বাঁধনকে। তবে শুধু ‘খুফিয়া’ তেই নয়। এর আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ ওয়েব সিরিজেও দেখা গিয়েছিল বাঁধনকে। আবার তাঁর শক্তিশালী অভিনয়ের জন্য তিনি নিজের দেশের মানুষের কাছেও সমাদৃত হয়েছে। বাঁধন অভিনীত ‘রেহানা মারিয়ম নুর’ ২০২১ সালের ৭৪ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল।