তিন ম্যাচের জন্য আইপিএল খেলতে এসে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সে নজর কাড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। অনবদ্য এক ব্যক্তিগত রেকর্ডও গড়েন তিনি। তবে তারকা ক্রিকেটারকে আইপিএলের জন্য এনওসি দিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মুস্তাফিজের অভাবে ইতিমধ্যেই আমিরশাহির মতো পিছনের সারির দলের কাছে টি-২০ সিরিজ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এবার আসন্ন পাকিস্তান সফরেও বড়সড় মাশুল গুনতে হতে পারে বাংলাদেশকে।
আইপিএল খেলতে এসে চোট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যার ফলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেলেন তারকা পেসার। শনিবার আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে লিগের শেষ ম্যাচে মাঠে নামেন মুস্তাফিজুর। তিনি পঞ্জাবের অজি তারকা জোশ ইংলিসের ক্যাচ ধরার চেষ্টায় বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান।
পরে জানা যায় যে, তাঁর আঙুলে হালকা চিড় ধরেছে। যার ফলে মুস্তাফিজকে অন্তত ২ থেকে ৩ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। মুস্তাফিজুরের পরিবর্ত হিসেবে খালেদ আহমেদকে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুস্তাফিজুর হলেন তৃতীয় ক্রিকেটার, যাঁকে পাকিস্তান সফরে দলে পাবে না বাংলাদেশ। তাঁর আগে নাহিদ রানা ব্যক্তিগত কারণে পাকিস্তান সফর থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সৌম্য সরকার পিঠের চোটের জন্য ছিটকে যান সিরিজ থেকে। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজ জায়গা করে নেন বাংলাদেশের স্কোয়াডে।
উল্লেখ্য, ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আইপিএল ২০২৫ সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়ার পরে অজি তারকা জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে দলে পায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। তাঁর বদলে দিল্লি দলে নেয় বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। মুস্তাফিজকে দলে নিতে ৬ কোটি টাকা খরচ হয় ক্যাপিটালসের।
মুস্তাফিজুর দিল্লির হয়ে আইপিএল ২০২৫-এর তিন ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ৪টি উইকেট দখল করেন। শনিবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন তিনি। সেই সুবাদে গড়ে মুস্তাফিজ গড়ে ফেলেন দুরন্ত এক নজির। তিনি শাকিব আল হাসানকে টপকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়া বাংলাদেশি বোলারে পরিণত হন।
মুস্তাফিজুর সব মিলিয়ে ৬০টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নামেন। তিনি সাকুল্যে উইকেট সংগ্রহ করেন ৬৫টি। শাকিব আল হাসান আইপিএলের ৭১টি ম্যাচে মাঠে নেমে মোট ৬৩টি উইকেট নিয়েছেন।
পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ টি-২০ সিরিজের সূচি
১. প্রথম টি-২০: ২৫ মে (ফয়জলাবাদ)।
২. দ্বিতীয় টি-২০: ২৭ মে (ফয়জলাবাদ)।
৩. তৃতীয় টি-২০: ৩০ মে (লাহোর)।
৪. চতুর্থ টি-২০: ১ জুন (লাহোর)।
৫. পঞ্চম টি-২০: ৩ জুন (লাহোর)।