বাগডোগরা বিমানবন্দরের কাজ থমকে গিয়েছে। আর তাই বাতিল করে দিতে হয়েছে শিলান্যাসের অনুষ্ঠান। প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা খরচ করে শিলান্যাসের অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। এখন তা বাতিল করতে হয়েছে। কারণ একটাই— লোকসভা নির্বাচনের মরসুম চলছে। তার জেরেই থমকে গিয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের কাজ। সুতরাং গোটা বিষয়টি ঘেঁটে গিয়েছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের শুরুতে ঠিক হয়েছিল, মার্চ মাসে কাজ শুরু হবে। সেটা হিসাব করেই টেন্ডার হয়। কিন্তু গত ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাওয়াখালির সভার আগে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন করার কথা ছিল। সে তালিকায় রাখা হয়েছিল বাগডোগরা। কিন্তু পরে বাদ দেওয়া হয়। তাই কাজ আর পুরোদমে শুরু করা যায়নি।
এই বিমানবন্দরের দিকে অনেকে তাকিয়ে ছিলেন। কারণ সরাসরি উত্তরবঙ্গে আসা যাবে মুহূর্তে। এমনকী এখান থেকে নানা পরিষেবা চালু হলে মানুষের উপকার হবে। কিন্তু তা হল না। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে জুন মাসে ভোট মিটে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই শিলান্যাস হবে। অর্থাৎ সম্ভাবনা তেমনই। এই নিয়ে এখন কেউ কথা বলতেও আগ্রহী নয়। অথচ রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করেছে। তারপরও কেন্দ্রীয় সরকার কাজটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারল না বলে মনে করা হচ্ছে। পুরোদমে কাজ শুরু না হলে শিলান্যাস হবে কেমন করে! আপাতত লোকসভা নির্বাচন এবং তার ফলাফল প্রকাশের পরই হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘ফেক নয়, ওটাই অরিজিনাল’, সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনে সিলমোহর শাহজাহানের
এই পিছিয়ে যাওয়া কাজ আবার নতুন করে শুরু করতে সময় লাগবে বলেই মনে করছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর সফর ছিল। সেই কথা মাথায় রেখে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া শিলান্যাস অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে। আর সেটা করতে গিয়ে ৩৬ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার টেন্ডার করা হয়। সেখানে ডোম আকৃতির টেন্ট, মঞ্চ, বিশাল ঘেরা এলাকার ব্যবস্থা, ক্যাটারিং এবং নানা বিষয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংস্থাকে কাজ দেওয়ার কথা ঠিক হয়। যদিও স্থগিত হওয়ায় আবার কবে শুরু হবে বলা যাচ্ছে না।