বিরাট কোহলির দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে ভর করে ভারতীয় দল পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে। ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তখনও বোঝা যায়নি বিরাট কোহলি আসলে এমন এক অসাধারণ ইনিংস খেলবেন মোক্ষম সময়। রোহিত শর্মা যখন আউট হলেন তখন অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন বিরাট যদি আবারও বড় রান করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তো পাকিস্তান ম্যাচে জাঁকিয়ে বসবে।
কিং কোহলি কিন্তু নিরাশ করলেন না ভক্তদের। মোক্ষম সময়ই জ্বলে উঠলেন তিনি। আরো একবার বুঝিয়ে দিলেন ফর্ম ইজ টেম্পোরারি বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। করলেন ১১১ বলে অপরাজিত ১০০ রান। শেষদিকে ভারতবাসির অপেক্ষা ছিল এটাই দেখার, যে বিরাট কোহলি শতরান পান কিনা। বিরাট অবশ্য দলকে জেতালেন যে বলে চার মেরে, সেই শটেই পূরণ করলেন নিজের শতরান।
স্পিনারদের বুঝে খেললেন বিরাট
আগের ম্যাচে যে ভুল বিরাট কোহলি করেছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, এই ম্যাচে সেই এক ভুল করলেন না তিনি। গত ম্যাচে রিশাদ হোসেনের স্পিনে আউট হয়েছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খুশদিল, আব্রারদের অনেক সামলে খেললেন কোহলি। কখনও দেখে মনেই হল না স্ট্রাইক রেট নিয়ে ভাবছেন। শেষে যখন তাঁর স্কোরের দিকে তাকানো হল, দেখা যাচ্ছে স্ট্রাইক রেট ৯০র ওপর।
দুবাইতে আলোর কেন্দ্রবিন্দুতে বিরাট
শ্রেয়সও করলেন অর্ধশতরান। গিল করলেন ৪৬। কিন্তু সব লাইমলাইট যেন কেড়ে নিলেন বিরাট কোহলি, পাকিস্তান ম্যাচ বলে কথা। আর সঠিক সময়ই তিনি পেলেন শতরানের দেখা। সামনে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। আর তারপরই দুটো নকআউট ম্যাচ। এমনিতে ভারত প্রায় সেমি নিশ্চিত করে ফেলেছে। কিন্তু রোহিত-কোহলিরা চাইবেন গ্রুপে জয়ের হ্যাটট্রিক করেই লিগ টপার হিসেবে শেষ চারে যেতে।
ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি
একদিনের ক্রিকেটে নিজের ৫১তম শতরানের পর ম্যাচের সেরার পুরস্কার হাতে বিরাট কোহলি বললেন, ‘আগের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়েছি। রোহিত আউট হওয়ার পর দলের হয়ে ধরে খেলেছি এবং দলের জয়ের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। আমি আমার খেলা বুঝি। আমার কাজ আমার দলের জন্য সেরাটা দেওয়া। আমি আমার ১০০ শতাংশ দিই প্রত্যেক বলে। অবশ্যই কখনও না কখনও কঠোর পরিশ্রমের ফল পাব জানতাম। আর কঠোর পরিশ্রমের ফল পাওয়ায় ভগবানকে ধন্যবাদ। রোহিত-গিল যেভাবে শুরুটা করে দিচ্ছে সেটা আমাদের ভালো হচ্ছে। শুরুর ১০ ওভারে ৭০রান আসাটা খুব ভালো। ’।
১ সপ্তাহের বিরতি নিয়ে মুখ খুললেন কোহলি
এরপরই বিরাটের দিকে মজা করে ইশান বিশপ প্রশ্ন করেন, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ তো ২ তারিখ। অর্থাৎ মাঝে প্রায় ১ সপ্তাহের বিরতি। এটা পজিটিভ না নেগেটিভ? কোহলি অবশ্য মজার ছলেই বললেন, তাঁর মতো বয়স্ক (৩৬ বছর বয়সী) ক্রিকেটারের জন্য এই বিরতি ভালো, তবে দলের বাকি তরুণরা এই সময়টা কীভাবে নেবেন, সেটা তিনি জানেন না।