অস্ট্রেলিয়া শেষবার বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি জেতে দীর্ঘ এক দশক আগে। তারা ২০১৪-১৫ মরশুমে ঘরের মাঠে ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে পরাজিত করে। তার পরে ভারত ২০১৬-১৭ ও ২০২২-২৩ মরশুমে ঘরের মাঠে এবং ২০১৮-১৯ ও ২০২০-২১ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পরপর চারটি টেস্ট সিরিজ জেতে ২-১ ব্যবধানে।
স্বাভাবিকভাবেই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি দেশে ফেরাতে মরিয়া দেখায় প্যাট কামিন্সদের। এবার ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে লিড নিতেই নিজেদের গেম প্ল্যান বদল করে অস্ট্রেলিয়া। তারা সিডনির শেষ টেস্টে যাতে হারতে না হয়, সেই চেষ্টায় লড়াই শুরু করে ম্যাচের আগে থেকেই।
উল্লেখ্য, পার্থে চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে জয় তুলে নেয় ভারত। অ্যাডিলেডের দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় অস্ট্রেলিয়া। ব্রিসবেনের তৃতীয় টেস্ট ড্র হয়। মেলবোর্নের চতুর্থ টেস্ট জিতে সিরিজে ২-১ এগিয়ে যায় অজিরা। এই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া যদি সিডনির শেষ টেস্ট জেতে বা ড্র করে, তাহলে সিরিজ জিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ছিনিয়ে নেবে ভারতের কাছ থেকে। তবে ভারত যদি সিডনি টেস্ট জিতে সিরিজ ২-২ ড্র করে, তবে ট্রফি নিজেদের কাছেই রেখে দেবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চলতি সিরিজে ভারতের ব্যাটিং মোটেও বড়াই করার মতো হয়নি। শুধু বোলিংয়ের জোরে অজিদের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। অজি পেসারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের বিব্রত হওয়ার ছবিটাই অজি শিবিরকে বাধ্য করে সিডনির পিচের চরিত্রই বদলে দিতে।
সচরাচর উপমহাদেশের দলগুলি সিডনিতে খেলতে নেমে তুলনায় স্বস্তিতে থাকে। কেননা সিডনির পিচে স্পিনারদের জন্য তুলনায় সাহায্য থাকে এবং সেখানে ব্যাট করাও খুব একটা কঠিন হয় না। চলতি সিরিজে ভারত যদি সিডনিতে স্পিন ও ব্যাটিং সহায়ক পিচ পায়, তাহলে বিপদে পড়তে হতে পারে বুঝেই অস্ট্রেলিয়া সিডনির বাইশগজে ঘাস ছেড়ে রাখে বিস্তর।
অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নের থেকেও বেশি ঘাস রাখা হয় সিডনির পিচে। ফলে সেখানে পেসারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করা নিতান্ত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সিডনি টেস্টে শুরুতে ব্যাট করে ভারত ১৮৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াও অস্বস্তিতে পড়ে। তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১৮১ রানে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত ৭০ বছরে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও টেস্টের প্রথম ইনিংসে উভয় দলই ২০০ রানের গণ্ডি টপকাতে ব্যর্থ হয়। শেষবার এমন ঘটনা ঘটে ৪৫ বছর আগে। ১৯৭৯-৮০ মরশুমে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড টেস্টে শেষবার দেখা যায় এমন ছবি। সেবার ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১২৩ রানে। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৪৫ রানে।