কোভিডের আঁচ এসে লাগল রাজভবনেও। অন্তর্বর্তী ব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া হলেও অতিমারীর জেরে ব্যয় সঙ্কোচের কারণে তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল নবান্ন।রাজ্যপালের ‘হাউজহোল্ড’ বা গৃহস্থালি খাতে খরচ সামলাতে প্রয়োজন আরও ৫৩.৪ লাখ টাকা। এই খাতে রাজ্য সরকারের দেওয়া বরাদ্দ অর্থ প্রায় শেষের মুখে। খরচ সামলাতে অতিরিক্ত অর্থ চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপালের সচিব সতীশ তিওয়ারি। রাজভবনকে পালটা চিঠিতে স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারীর জেরে রাজকোষে টান পড়ায় ব্যয় সঙ্কোচের নীতি অনুসরণ করছে রাজ্য সরকার। সুতরাং রাজ্যপালের চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া এই মুহূর্তে অসম্ভব।নবান্নের উত্তরে গভীর সমস্যায় পড়েছেন রাজভবনের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজভবনের জন্য ১৬.৫ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে অন্যান্য দফতরের মতো রাজভবনের জন্য বরাদ্দ খরচেও ৫০ শতাংশ ব্যয় ছাঁটাই করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিবের চিঠি পেয়ে গভীর সমস্যায় পড়েছেন রাজভবনের আধিকারিকরা। সূত্রে খবর, রাজভবনের অন্দরমহল পরিচালনার জন্য নামমাত্র টাকা পড়ে রয়েছে। সে কথা সবিস্তারে জানানো হলেও অতিরিক্ত বরাদ্দে নারাজ নবান্ন। জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের গৃহস্থালি পরিচালনা, বিনোদন এবং অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক খাতে ব্যয়ের জন্য ৮৭,৬২,০০০ টাকা চেয়েছিল রাজভবন। ব্যয় সঙ্কোচের ফলে বরাদ্দ কমলেও ৩৪ লক্ষ টাকা পাওনা হয় বলে নবান্নকে জানানো হয়েছিল।এ বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দাবি, বেশ কিছু মাস ধরেই রাজভবনের প্রতি নেতিবাচক আচরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজভবনের প্রায় অর্ধ্বেক কর্মী অনুপস্থিত। তা সত্ত্বেও তহবিলের অর্থ জোগাতে রাজ্য সরকারের সমস্যা নিয়ে সঠিক জায়গায় আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন ধনখড়। তবে যে কোনও অর্থেই তিনি রাজভবনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দেবেন না বলেও জানিয়েছেন।