একদিন আগেই বিশেষ অধিবেশন সংসদে ডাকার অনুরোধ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা দেশের স্বার্থে। বিদেশ সফরে যে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল গিয়েছে তারা দেশে ফিরলেই সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক বলে আর্জি জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এবার পাল্টা বিশেষ অধিবেশন বিধানসভায় করার দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তা দেশের স্বার্থে নয়। একটা জেলার হিংসার ঘটনা নিয়ে। এটা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ছিলেন। ঠিক তেমনই বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি তুলে শুভেন্দু অধিকারীও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। বিরোধী দলনেতা চান, মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল সেটা নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক। কিন্তু পাকিস্তান ইস্যুর পাল্টা যে মুর্শিদাবাদ ইস্যু হতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা পহেলগাঁওয়ে এসে নির্মম হত্যালীলা চালিয়ে ছিল। যার প্রেক্ষিতেই ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানের মুখোশ বিশ্বের দরবারে খুলে দিতেই বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের বিদেশ সফর।
আরও পড়ুন: আইনজীবীকেই জেলে পাঠালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, বিরাট অভিযোগ উঠল
সেখানে কেমন অভিজ্ঞতা হল এই প্রতিনিধিদলের সেটা দেশের মানুষের জানা দরকার। তাই সংসদে বিশেষ অধিবেশনের আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার তা শুনবে কিনা সেটা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা রয়েছে। তারই পাল্টা দিতে গিয়ে এবার মুর্শিদাবাদ ইস্যুকে আবার তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির এই বিধায়ক চান, মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনা নিয়েও রাজ্যবাসীকে জানানো হোক বিশেষ অধিবেশন করে। শুভেন্দু তাই এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘রাজ্যের মানুষ এই প্রশ্নগুলির উত্তর চায়—কেন অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ ব্যর্থ হল? কেন শুধু হিন্দুদের বাড়িকে নিশানা করা হল? কেন তৃণমূলের লোকেরা এই পরিস্থিতি তৈরি করল?’ এই দাবিও মানা হবে কিনা তা জানা যায়নি।
তাছাড়া কলকাতা হাইকোর্ট যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গড়ে দিয়েছিল, তাঁরাই গত বুধবার রিপোর্ট দিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসা পূর্বপরিকল্পিত এবং এটার পিছনে স্থানীয় একাধিক নেতার মদত ছিল। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উল্লেখ করা হয়েছে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে। তাঁদের বক্তব্য, এলাকায় যখন এমন হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল, যখন দোকান, বাড়ি ভাঙচুর চলছিল, তখন পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় ছিল। হিংসা আটকাতে কোনও চেষ্টাই করেনি।