এবারের নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন সিনিয়র পলিটিশিয়ান। দেশের একমাত্র বিরোধী নেত্রী। সাতবারের সাংসদ, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় তাঁর যথেষ্ট সম্মান প্রাপ্য। সেটাই মেলেনি বলে অভিযোগ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। গতবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক ‘বন্ধ’ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই তিনি কথা বলতে পারেননি। সেই অপমানেই বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না।
এবার নীতি আয়োগের পরিচালন সমিতির দশম বৈঠক হতে চলেছে। আজ, শনিবার এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে যাবেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এবার নীতি আয়োগের থিম, ‘উন্নত রাজ্য, উন্নত ভারত।’ সুতরাং গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যগুলির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে উৎপাদন থেকে পরিষেবা, ক্ষুদ্র উদ্যোগ, গ্রামীণ এবং শহরের কর্মসংস্থানের সুযোগ–সহ অচিরাচরিত শক্তি ও সবুজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের মতো বিষয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘উদয়ন গুহদের আমরা পকেটে রাখি’, হুঙ্কার মীনাক্ষীর, ভাঙচুর সিপিএমের কার্যালয়
এই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন দেশের প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বলে জানা যাচ্ছে। তবে যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এতে কেন্দ্র–রাজ্য সম্পর্কে চিড় খেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগেরবারের নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। আমার বলার সময় থামিয়ে দেওয়া হয়। আমি বলতে শুরু করার ৫ মিনিটের মধ্যে আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা অপমানজনক।’ এই ঘটনার কথা সম্পূর্ণ স্বীকার করতে চায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে তখন থেকেই সম্পর্কে চিড় ধরে রয়েছে।
এবার আবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া একের পর এক প্রকল্পে টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। সেক্ষেত্রে এই বৈঠকে গিয়ে কোনও লাভ হবে না বলে মনে করছেন তিনি। আগেরবারের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এনডিএ শরিকদের বলতে বেশি সময় দেওয়া হয়। চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট বলতে দেওয়া হয়। অথচ আমি বঞ্চনার কথা বলতেই থামিয়ে দেওয়া হল। ৫ মিনিট পরই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা অপমানজনক। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি বৈষম্য করা উচিত নয়। রাজ্যগুলির স্বার্থে আমি এসেছিলাম। বিরোধীদের কেউ আসেনি। সব বিরোধীদলের হয়ে কথা বলেছি।’