গত ৫ মে বালিগঞ্জে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন চালক নীতীন আগরওয়াল। দুর্ঘটনার প্রায় ১৮ দিন পরে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। এটা নিছকই দুর্ঘটনা ছিল না, আসলে তাঁর বাইকে ধাক্কা মারা হয়েছিল। পানের পিক ফেলায় নীলবাতির একটি গাড়ি এক কিলোমিটারপিছু ধাওয়া করার পরে তাঁর বাইকে ধাক্কা মারে। আর বাইক থেকে পড়ে প্রথমে আহত পরে মৃত্যু হয় নীতীনের। এই ঘটনায় নীলবাতি লাগানো গাড়ির মালিক রঞ্জিত তাঁতি পরে নিজেই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই এই মামলায় নতুন ধারা যুক্ত করতে চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় রাশ টানতে নয়া উদ্যোগ, বাস চালকদের কাউন্সেলিংয়ের প্রস্তাব
গত ৫ মে রাত আড়াইটে নাগাদ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে বাইক দুর্ঘটনার খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে বাইক উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে। নীলবাতি লাগোনো গাড়িটি বাইকে ধাক্কা মারার পর পালিয়ে যায়। সেই গাড়িটির পিছনে থাকা অন্য একটি গাড়ি দুর্ঘটনা দেখে স্থানীয়দের সাহায্যে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর বাইকের নম্বর খতিয়ে দেখা জানতে পারে বাইকের মালিক হলেন নীতীনের দাদা। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ আরও জানতে পারে নীতীন সেদিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাঁর বাড়িতে মোবাইল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুলিশ তদন্তের গভীরে যেতেই আরও জানতে পারে, আসলে ঘটনার দিন একটি পানশালায় গিয়েছিলেন নীতীন। সেখান থেকে বেরোনোর পর নীতীন বাইক চালানোর সময় পানের পিক ফেলেছিলেন। সেইসময় নীলবাতি লাগানো ওই গাড়িতে পানের পিক পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গাড়ির আরোহীরা। এনিয়ে দুপক্ষে মধ্যে বচসা বাঁধে। পরে নীতীন দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় নীল বাতির গাড়িটি এক কিলোমিটার পিছু ধাওয়া করে বাইকের পিছনে ধাক্কা মারে।