ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করতে গিয়ে এবার রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে ধরা পড়ল পড়লেন দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। যার মধ্যে একজন হলেন অঞ্চল সভাপতি এবং অন্যজন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এই ঘটনার পরেই দুই নেতাকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহারের গীতালদহ থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন হলেন মহিলা। ধৃতেরা আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান এসটিএফের।
আরও পড়ুন: অসমে বাজেয়াপ্ত ৭.৬ লাখ মাদক ট্যাবলেট, দাম শুনলে চমকে যাবেন, পুলিশকে ঘুষের টোপ
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম হল মাফুজার রহমান, সেরাজুল হক, ইরশাদ হোসেন, খাজিদুল হক এবং তোতা বিবি। এদের মধ্যে মাফুজার রহমান হলেন গীতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি। অন্যদিকে, সেরাজুল হক হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের শিলিগুড়ি ইউনিট। তখনই তাঁরা ধরা পড়েন। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দেড় কেজি ইয়াবা ট্যাবলেট। এর বাজারদর হল প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। ধৃতরা প্রত্যেকেই দিনহাটার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ইয়াবা ট্যাবলেটগুলি আনা হয়েছিল ভিন রাজ্য থেকে। নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে সেগুলি আনা হয়েছিল। সেগুলি স্থানীয় বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল বলেই প্রাথমিক অনুমান।
তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমান আন্তর্জাতিক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে এর আগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেলার অন্যান্য তৃণমূল নেতারাও তাঁর সঙ্গে যুক্ত। তাঁরাও এই টাকা ভাগ পান বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও তৃণমূল সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। তিনি জানান, ব্যক্তিগতভাবে কে কীসের সঙ্গে জড়িত তা জানা সম্ভব নয়। তবে দল বিষয়টি জানতে পেরেই পদক্ষেপ করেছে। অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে তিনি জানান।