মালদায় তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলার খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এমন ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আততায়ীরা এলাকায় ১০ দিন রেকি করার পরেও কেন তা পুলিশের নজরে এল না? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর এবার বিভিন্ন জেলায় জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা জোরদার করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। তাই জনপ্রধিনিধিদের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যের ডিরেক্টর সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা অধিকর্তা পীযূষ পান্ডে।
আরও পড়ুন: কখন একলা দুলাল সরকার! নজর রাখছিল ওরা, বড়দিনে মিস হতেই ‘প্ল্যান বি’
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই সব জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটের কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেন পীযুষ পান্ডে। সেই বৈঠকে মূলত রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে নেতা নেত্রী বা জন প্রতিনিধিরা কী ধরনের নিরাপত্তা পাচ্ছেন? কতজনের নিরাপত্তা গত কয়েক বছরের মধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে? সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রবিবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার আগে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা পেতেন। এর আগে ২০০৭ এবং ২০১৭ সালে তাকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তারপরও ২০২১ সালে তার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়। তবে নিরাপত্তা কেন তুলে নেওয়া হল? তা নিয়ে তৃণমূলের একাংশের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সাধারণত, ভিআইপিদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেন পীযুষ পান্ডে। তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রীরও নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেন। শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতা নেত্রী বর্তমানে কী ধরনের নিরাপত্তা পাচ্ছেন, ওই নিরাপত্তা কবে ঠিক করা হয়েছিল? এছাড়া কার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে, কেন তুলে নেওয়া হয়েছে বা কাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন? সেই সমস্ত বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন নিরাপত্তা অধির্কতা। আগামী রবিবারের মধ্যে এই তথ্য জানতে চেয়েছেন তিনি।
এছাড়াও, অভিযোগ উঠেছে যে সংশোধনাগারের ভেতর থেকে অনেক দাগি আসামি অপরাধমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকী খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাই জেলবন্দি থাকা আসামিদের উপরেও তিনি নজর রাখতে বলেছেন। কারণ জেলে বসে অনেকেই অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করছে। সাধারণত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে নেতা নেত্রী বা জন্যপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা স্থির করা হয়। মোট পাঁচটি স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এক্স, ওয়াই, ওয়াই প্লাস, জেড এবং জেড প্লাস। পুলিশ কমিশনার বা পুলিশ সুপারদের থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখার পর ডিরেক্টর সিকিউরিটি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।