সব মিলিয়ে ১০৭টি সামরিক সরঞ্জাম। তার মধ্যে রাশিয়ার সামরিক অস্ত্রের অংশও রয়েছে। তবে এই সামগ্রীগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করার ক্ষেত্রে এবার আগামী কয়েকবছরের জন্য লাগাম টানা হল। কার্যত আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যুদ্ধ জাহাজ, হেলিকপ্টার, ট্যাঙ্ক, মিসাইল, রাডার সহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম আগামী ২০২২ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এর কারণ একটাই, সামরিক ক্ষেত্রেও আরও আত্মনির্ভরতার দিকে এগোতে চাইছে সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রক এনিয়ে একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে।এদিকে রাশিয়াতে তৈরি যে অস্ত্র ভারতের হাতে রয়েছে তার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছিল। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে সেই প্রশ্নটা আরও জোরালো হয়ে উঠছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ১০৭টি ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আগামী বছরগুলিতে দেশীয়ভাবে তৈরি হবে। কেবলমাত্র ভারতীয় শিল্প কারখানা থেকে তা কিনতে হবে। এদিকে বর্তমানে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড, ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড সহ বিভিন্ন দেশীয় কোম্পানি একদিন বিদেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করত।তবে এবার আগামী ৬ বছর তাদের দেশীর সরঞ্জামের উপরই নির্ভর করতে হবে। লাইট হেলিকপ্টার, লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার, লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, যুদ্ধজাহাজ, ট্যাঙ্ক, রকেট, অ্যান্ট ট্যাঙ্ক মিসাইল সহ বিভিন্ন যুদ্ধসামগ্রীর উপকরণের জন্য় এবার আর রাশিয়া কিংবা বিদেশের উপর নির্ভরশীল থাকলে হবে না। সবটাই হবে দেশীয় উপকরণ।