হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশকে এবার কড়া বার্তা ভারতের। ক্রমেই ইউনুস সরকারের বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। আর তা নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের সরকারকে দিল্লি জোরালো বার্তায় আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এই ইস্যুতে এদিন সংসদে রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেন মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং।
রাজ্যসভায় এদিন মোদী সরকারের মন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং বলেন,'বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও দেবদেবীর অপবিত্রতার নানান ঘটনার কথা রিপোর্ট হয়েছে গত কয়েক মাসে। সরকার এগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে ঢাকার তাঁতিবাজারে মণ্ডপে হামলা ও ২০২৪ সালে দুর্গাপুজোর সময় সাতখিরায় যশরেশ্বরী কালীমন্দিরে ঘটনাও এরমধ্যে রয়েছে। ‘ এই ইস্যুতে ভারতের সাফ কথা, বাংলাদেশ যেন তার সমস্ত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, বিশেষত সংখ্যালঘুদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন,'ভারত সরকার, বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে হিন্দু, সংখ্যালঘুদের এবং তাদের ধর্মীয়স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। সংখ্যালঘু সমেত বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বাধীনতা ও জীবনের নিরাপত্তার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।'
বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলা:-
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জন-গণঅভ্যুত্থানের জেরে মসনদ ছেড়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদেশ ছাড়তেই, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে ঢাকার তাঁতিবাজারে দুর্গাপুজো মণ্ডপে এক জায়গায় বোমা ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। সেই বোমা বিস্ফোরণে সেভাবে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, তা বাংলাদেশের হিন্দুজের কাছে বড় হুমকি। বর্তমানে বাংলাদেশের শাসনভার চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রধান উপদেষ্টা হলেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। তাঁর আমলে সদ্য বাংলাদেশের যশরেশ্বরী মন্দিরে দেবী কালিকার মুকুট চুরি হয়ে যায়। এই মন্দির উদ্বোধন হয়েছিল ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। এদিকে, সদ্য দেশদ্রোহিতার অভিযোগে বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের সরকার। এরপর থেকে বাংলাদেশ তপ্ত।