Fish Buying Tips: সংসারধর্মের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বাজারপাট। একটা বয়সের পর সবাইকে হাতে থলি নিয়ে কখনও না কখনও বাজারমুখী হতে হয়। এই অবস্থায় তো আর এটা কিনব ওটা কিনব না বলা যায় না। বাড়ির চাহিদামতো সবই কিনতে হয়। কিন্তু মাছ কিনতে গিয়েই অনেকে হিমশিম খান। টাটকা মাছ ঠিকমতো চিনে উঠতে পারেন না। আজকাল মাছের মধ্যে ফর্ম্যালিন মিশিয়ে টাটকা দেখানো হয়। এই ফর্ম্যালিনের ফাঁদ পেরিয়ে টাটকা মাছ চেনার উপায়টি জেনে নিন।
আরও পড়ুন - চিকেন পক্সে কোন কোন খাবার সুপারফুড? কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন? রইল স্পেশাল ডায়েট
ফর্ম্যালিনে কীসের বিপদ?
মাছ টাটকা রাখতে এই রাসায়নিক মাছের মধ্যে মেশানো হয়ে থাকে। কিন্তু এটি মানুষের শরীরে গেলে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে পচে যাওয়া মাছের মধ্যে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু জন্মাতে থাকে। পচা মাছ খেলে শরীরে সেই জীবাণুগুলি প্রবেশ করে। যার থেকে পেটের রোগ ছাড়াও অন্যান্য রোগের আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন - ছয় মাস টাটকা থাকবে বাঁধাকপি! ফ্রিজে রাখার আগে করুন এই ছোট্ট কাজ
টাটকা মাছ চেনার কিছু সহজ উপায়
১. মাছের চোখ - প্রথমেই দেখে নিন মাছের চোখটি। টাটকা মাছের চোখ স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল হয়। কিছু ফোলা ফোলাও দেখতে হয়। বাসি মাছের চোখ ঘোলাটে হয়।
২. মাছের কানকো - টাটকা মাছ চেনার সবচেয়ে পরিচিত উপায় হল কানকোটি দেখে নেওয়া। টাটকা মাছের কানকো টকটকে লাল রঙের হয়। যদি মাছ বাসি হয়, তাহলে কানকো কালচে লাল দেখতে হবে। কেনার আগে এটি অবশ্যই দেখে নিন।
৩. মাছের আঁশ - তাজা মাছের পেশি ও আঁশ বেশ শক্ত হয়। মাছ কাটার সময় সহজে আঁশ বেরোয় না। কিন্তু বাসি মাছের আঁশ আলগা হয়ে আসে। সহজেই বেরিয়ে যায় সেটি।
৪. মাছের ত্বক - মাছের ত্বক ধাতব চকচকে ও উজ্জ্বল। কিন্তু বাসি মাছের ত্বকের চকচকে ভাব থাকে না।
৫. মাছের গন্ধ - টাটকা মাছের গন্ধ একেবারেই চড়া হয় না। হালকা জলের গন্ধ থাকে মাছের গায়ে। কিন্তু বাসি মাছে রাসায়নিক দিয়ে চড়া গন্ধ তৈরি করা হয়। তাই গন্ধ চড়া হলে সেই মাছ বাসি হতে পারে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা কথার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।