পিরিয়ডের সময় মহিলারা অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে অনেক মেয়েরই ক্র্যাম্প বেশি হয়, আবার কারও মেজাজ পরিবর্তন বেশি হয়। পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা সহ্য করা সবার জন্য সহজ হয়ে ওঠে না। একই সময়ে, পিরিয়ড আবার কিছু মেয়েদের জন্য আরামদায়ক এবং অত্যন্ত সাধারণ। একইভাবে কিছু মেয়েদের পিরিয়ডের সময় মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। এই সমস্যা সবার সঙ্গে যদিও হয় না। কিন্তু পিরিয়ডের সময় কি মাথা ঘোরা স্বাভাবিক?
আরও পড়ুন: (HT Bangla Exclusive: খাবার খেলেই বেরিয়ে আসছে পেটের ছিদ্র দিয়ে! জটিল রোগের সফল অস্ত্রোপচার কলকাতায়)
পিরিয়ডের সময় মাথা ঘোরা কি কোনও স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ
ডাক্তাররা বলেন, পিরিয়ডের সময় মাঝে মাঝে মাথা ঘোরা স্বাভাবিক। এই সময় হরমোনের পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনগুলি কখনও কখনও মাথা ঘোরার কারণ হয়। কিন্তু এই সমস্যা যদি সবসময় চলতে থাকে এবং বারবার মাথা ঘুরতে থাকে, তাহলে এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করা উচিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে এটি শরীরে কিছু সমস্যা হওয়ার লক্ষণ হলেও হতে পারে।
পিরিয়ডের সময় মাথা ঘোরার কারণ কী কী
- হরমোন ওঠানামা: পিরিয়ডের সময়, ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এই কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং রক্তচাপও প্রভাবিত হয়। এর ফলেও মাথা ঘুরতে পারে।
- বেশি ব্লিডিং: পিরিয়ডের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণেও মাথা ঘুরতে পারে। কিন্তু মেনোরেজিয়ায় ভুগছেন এমন মহিলারা এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। মেনোরেজিয়া শরীরে আয়রনের ঘাটতি ঘটাতে পারে, যা আবার রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে। এমন অবস্থায় ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
- ডিহাইড্রেশন: পিরিয়ডের কারণে ডিহাইড্রেশনহওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেও মাথা ঘোরে। এই সময়ের মধ্যে, শরীরে পুষ্টির ক্ষয়ও হয়, যার কারণে মাথা ঘোরে।
- অন্যান্য সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্যগত অবস্থা যেমন নিম্ন রক্তচাপ, মাইগ্রেন বা পিরিয়ডের আগে সমস্যাও মাঝে মাঝে মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে। এগুলি ছাড়াও অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং পুষ্টির অভাবও পিরিয়ডের সময় এই সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন: (Viral News: ‘টায়ার ফেটে যাবে’ ওজন বেশি বলে যাত্রীকে গাড়িতে নিলেন না ক্যাবচালক! Viral Video)
পিরিয়ডের সময় মাথা ঘোরার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে
পিরিয়ডের সময় নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন, বেশি করে জল খান, যাতে শরীর জলের ঘাটতি না পড়ে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। বিশ্রাম নিন এবং মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন।
মনে রাখবেন, যদি কোনও মহিলার পিরিয়ডের সময় সবসময় এই সমস্যা থাকে। এছাড়াও, যদি এই সমস্যাটি দৈনন্দিন কাজেও হস্তক্ষেপ করে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো উচিত।