'চিরদিনই তুমি যে আমার, যুগে যুগে আমি তোমারই…', একসময় পুজো প্যান্ডেল হোক কিংবা অনুষ্ঠান বাড়ি, সর্বত্রই বাজত সুপারহিট এই গান। কি মনে পড়ছে? ১৯৮৭ সালে মুক্তি পায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘অমরসঙ্গী’। বাপ্পি লাহিড়ির সুরে কিশোর কুমারের গাওয়া এই গান সেসময় লোকের মুখে মুখে ঘুরত। আজও একইভাবে জনপ্রিয় গানটি।
সুজিত গুহ পরিচালিত 'অমরসঙ্গী' (১৯৮৭) ছিল সেসময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কেরিয়ারে অন্যতম সেরা ছবি। সেসময় এই ছবি ছিল ব্লকবাস্টার। আর এবার সেই গানেই ডান্স ফ্লোর মাতালেন প্রসেনজিৎ ও তাঁর ছেলে তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুক। ভিডিয়োটি ৬ জানুয়ারি, সোমবার ছেলে মিশুকের জন্মদিনে পোস্ট করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন মিশুক। আমি জানি তুমি বড় হয়ে যাচ্ছো। তবে আমার কাছে তুমি সবসময় ছোট হয়েই থাকবে। আমরা তোমাকে নিয়ে গর্বিত। অনেক ভালবাসা এবং আশীর্বাদ’। পোস্টটি ছেলেকে ট্যাগও করেছেন 'বুম্বাদা'।
ভিডিয়োতে অবিকল বাবাকে নকল করে নাচতে দেখা যাচ্ছে প্রসেনজিৎ পুত্রকে। ভিডিয়োর নিচে নেটিজেনদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লেখেন, ‘জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল…।’ কেউ লিখেছেন, ‘বাবা-ছেলের সম্পর্ক তো দারুণ!’ কারোর মন্তব্য, ‘খুবই সুন্দর প্রসেনজিৎ স্যার, তৃষাণজিৎও দারুণ।’ কারোর মন্তব্য, 'শুভ জন্মদিন', কেউ আবার বলেছেন, ‘বাপকা বেটা…’। এমনই অজস্র মন্তব্য উঠে এসেছে নেটপাড়ায়।
প্রসঙ্গত, মিশুক ওরফে তৃষাণজিৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্র। তামিলনাড়ুর কোদাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল পড়াশোনা করেছেন মিশুক। গতবছরই গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট হয়েছে তাঁর। গত বছর ছেলের গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনির ভিডিয়োও পোস্ট করেন প্রসেনজিৎ।
জানা যায়, পড়শোনার পাশাপাশি বাবার মতোই অভিনয়ে আসার ইচ্ছে রয়েছেন তৃষাণজিতের। এছাড়াও ফুটবল অন্তর প্রাণ ছিল তাঁর। ইউরোপে থাকাকালীন নিয়মিত খেলতেন তিনি। তবে আজকাল অভিনয়ের ফাঁকে নাটকেও অভিনয় করছেন তিনি। তৃষাণজিৎ কবে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখবেন, এখন তা শুধুই সময়ের অপেক্ষা।