ডিভোর্স আর বিয়ে নিয়ে হামেশা কটাক্ষের মুখে পড়েন অভিনেতা ও তৃণমূলের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। এমনকী, তাঁকে নিয়ে মিমেও ছয়লাপ থাকে সোশ্যাল মিডিয়া। ‘অপরাধ’, দু বার ডিভোর্স আর তিনবার বিয়ে। আর এতেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার নীতি পুলিশদের বিষ নজরে। সে যাই হোক, কাঞ্চন মল্লিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রী অর্থাৎ পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রীময়ী চট্টোরাজের থেকে অনেক কম চর্চায় থাকেন ১ম স্ত্রী অনিন্দিতা দাস। বহু মানুষের মনেই প্রশ্ন, কেন ডিভোর্সের এতগুলো বছর পরেও, আর বিয়ে করলেন না তিনি?
বর্তমানে জি বাংলার ‘আনন্দী’ ধারাবাহিকে নায়ক ঋত্বিকের মায়ের চরিত্রে কাজ করছেন অনিন্দিতা দাস। কখনোই প্রাক্তনকে নিয়ে সেভাবে মুখ খুলতে দেখা যায় না তাঁকে। জানা যায়, অনিন্দিতা বর্তমানে শহর কলকাতায় একটি ফ্ল্যাটে নিজের মা বাবা ও ছোট্ট একটি পোষ্য বিড়ালকে (মাম্বো) নিয়ে সুখের জীবন যাপন করছেন। আপাতত বয়স্ক মা-বাবার যত্ন আর অভিনয়ই তাঁর মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বাবা এক, মা আলাদা! সৎ দাদা সানির নামে হঠাৎ কী লিখলেন ধর্মেন্দ্র-কন্যা এষা দেওল
কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর বিয়ের সময়, এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছিলেন অনিন্দিতা। জানিয়েছিলেন যে, প্রেম, ভালোবাসার কোনো জায়গা নেই তাঁর জীবনে। সঙ্গে স্পষ্ট করেছিলেন, অতীতে সম্পর্ক নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক খারাপ, তাই সেই সবে আর পড়তে চান না।
আরও পড়ুন: ‘আপনারা সবাই খুব…’! IPL-এর মাঠে রাঘবকে ‘জিজু’ বলে ডাক উপস্থিত দর্শকের, কী প্রতিক্রিয়া পরিনীতির
উলটে অনিন্দিতার প্রশ্ন ছিল, ‘সংসারে কি শুধু একজন স্বামী আর স্ত্রী থাকে? মা-বাবা ও সন্তানকে নিয়েও তো সংসার হয়।’ সঙ্গে স্পষ্ট করেছিলেন, অভিনয় ও লেখালেখি নিয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত তিনি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হোক বা সঙ্গী নির্বাচন, সবকিছুই আপাতত স্থগিত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: গান ছেড়ে এসব! ইন্ডিয়ান আইডল ১৫ জিতে মানসী পান ২৫ লাখ টাকা, এবার দিলেন নতুন ব্যবসা-র খবর
জানা যায়, জীবনে সেভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগেই অনিন্দিতার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। দীর্ঘ ছয় বছরের দাম্পত্য ছিল তাঁদের। তবে ডিভোর্সের পর, একটা পয়সাও খোরপোশ নেননি প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে। এমনকী, কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকেন তিনি।
উত্তরবঙ্গে মাথাভাঙ্গার মেয়ে অনিন্দিতা, ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ায় তুখোড়। রবীন্দ্রভারতীতে কলা বিভাগে কেন্দ্রীয় সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে সংগীত চর্চায় রিসার্চ করেছেন। নামের সঙ্গে আছে ডক্টরেট উপাধি। লিখেছেন বইও। তবে পড়াশোনা আর কেরিয়ারে, এত সাফল্য থাকা সত্ত্বেও, সাংসারিক জীবনে পাননি সুখ।