চার দিনের মধ্যে এই নিয়ে দু'বার রাজস্থান রয়্যালসের সামনে শেষ ওভারে ৯ রান তুলে ম্যাচ জয়ের সুযোগ ছিল। তবে দু'টি ম্যাচেই হারে তারা। দিল্লির বিরুদ্ধে গত ম্যাচে সুপার ওভারে হার মানেন সঞ্জু স্যামসনরা। এবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ২ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে পরাজয় স্বীকার করতে হয় রাজস্থানকে।
বুধবার দিল্লিতে শেষ ওভারে ক্যাপিটালসের ভাগ্য বদলে দেন মিচেল স্টার্ক। শনিবার জয়পুরে শেষ ওভারে বীরত্ব দেখান লখনউয়ের আবেশ খান। নাহলে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে শেষ ওভারে ৯ রান রক্ষা করা সহজ কাজ নয় মোটেও।
স্বাভাবিকভাবেই রাজস্থানের বিরুদ্ধে শেষ বলের থ্রিলারে লখনউয়ের জয়ের পরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন এলএসজি-র মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। শেষ ওভারে লখনউ মালিককে অত্যন্ত টেনশনে দেখায়। শেষ বলে ম্যাচ জয় নিশ্চিত হতেই কার্যত লাফিয়ে ওঠেন গোয়েঙ্কা। অন্যদিকে ঘরের মাঠে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হেরে বিষন্ন মুখে বসে থাকতে দেখা যায় রাজস্থান রয়্যালসের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে।
শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ছিল মোটে ২৫ রান। কিন্তু ঠিক তখনই আবেশ খান ম্যাচে রোমাঞ্চ ফেরান। তিনি ১৮তম ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যান যশস্বী জসওয়াল ও রিয়ান পারাগকে আউট করেন। সেই ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন আবেশ।
১৯তম ওভারে বল করতে আসেন লখনউয়ের প্রিন্স যাদব। শিমরন হেতমায়েক দুটি বাউন্ডারি মেরে রাজস্থানের জয়ের আশা বাড়িয়ে তোলেন। সেই ওভারে ১১ রান ওঠে। অর্থাৎ, জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে ৯ রান প্রয়োজন ছিল রয়্যালসের। আবেশ খান শেষ ওভারে ফের নিজের জাদু দেখান। তিনি তৃতীয় বলে হেতমায়েরকে আউট করেন। শেষ বলে চার মারলেই রাজস্থান ম্যাচ জিততে। তবে শুভম দুবে ১ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেননি।
লিগ টেবিলের ৮ নম্বরে রাজস্থান
আইপিএলের প্রথম চ্যাম্পিয়নদের জন্য চলতি মরশুমের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। তারা এখন পর্যন্ত আটটি ম্যাচ খেলে ছ'টিতে পরাজিত হয়েছে। আপাতত পয়েন্ট টেবিলে আট নম্বরে রয়েছে রাজস্থান। উল্লেযোগ্য বিষয় হল, ৬টি হারের মধ্যে রাজস্থানে চারটি ম্যাচ হারে রান তাড়া করতে নেমে।
উল্লেখ্য, শনিবার জয়পুরে শুরুতে ব্যাট করে লখনউ সুপার জায়ান্টস ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করে। পালটা ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৮ রানে আটকে যায়।