শেষমেশ সত্যি হল সম্ভাবনা। দ্বিতীয় দিনে বল হাতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারায় সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়তে হল বাংলাদেশকে। নাজমুল হোসেন শান্তদের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড়সড় লিড নিয়ে নেয় আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ের একেবারে শেষে থাকা জিম্বাবোয়ে।
অবশ্য এখনও ম্যাচে পালটা লড়াই চালানোর সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখাতে না পারলে শেষমেশ পচা শামুকে পা কাটার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারে।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে তারা প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেনি। বাংলাদেশ প্রথম দিনেই নিজেদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৯১ রানে। তারা ব্যাট করে সাকুল্যে ৬১ ওভার। মোমিনুল হক দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫৬ রান করেন। ৪০ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জিম্বাবোয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
প্রথম ইনিংসে লিড জিম্বাবোয়ের
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান তুলে ফেলে। তার পর থেকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবোয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৭৩ রানে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৮২ রানের লিড নেয় জিম্বাবোয়ে।
সফরকারী দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করেন ব্রায়ান বেনেট ও শন উইলিয়ামস। বেনেট ৬৪ বলে ৫৭ রান করেন। তিনি ১০টি চার মারেন। ১০৮ বলে ৫৯ রান করেন উইলিয়ামস। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া বেন কারান ১৮, ওয়েসলি মাধেভেরে ২৪, উইকেটকিপার মায়াভো ৩৫, রিচার্ড এনগারাভা ২৮ ও ব্লেসিং মুজারাবানি ১৭ রান করেন।
৫ উইকেট মেহেদি হাসান মিরাজের
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫২ রানে ৫ উইকেট দখল করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৭৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন নাহিদ রানা। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। ১০ ওভারে ৫৩ রান খরচ করেও উইকেট পাননি তাইজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:- হার্দিক থেকে সিরাজ, BCCI-এর বার্ষিক ৫ কোটির চুক্তিতে রয়েছেন এই ৬ জন
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শাদমান ইসলামের উইকেট হারিয়ে বসে। মাত্র ৪ রান করে মুজারাবানির বলে উইলিয়ামসের হাতে ধরা পড়েন তিনি।