আধুনিক ক্রিকেটে বাউন্ডারির ধারে রিলে ক্যাচ দেখা যায় হামেশাই। অর্থাৎ, বাউন্ডারির ভিতরে বল ধরে একজন ফিল্ডারের যদি মনে হয় যে তিনি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছেন না, তখন তিনি অন্য ফিল্ডারের দিকে বল ছুঁড়ে দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়ে যান এবং বাউন্ডারির ভিতরে থাকা অন্য ফিল্ডার ক্যাচটি সম্পন্ন করেন।
আইপিএলেও এমনটা চোখে পড়েছে বিস্তর। সোমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আরসিবির ফিল সল্ট ও টিম ডেভিড মিলিত প্রচেষ্টায় এমনই একটি দুর্দান্ত ক্যাচ উপহার দেন ক্রিকেটপ্রেমীদের, যা এখনও পর্যন্ত চলতি আইপিএলের সেরা বলা চলে। এমনকি শেষ পর্যন্ত এটি মরশুমের সেরা ক্যাচের পুরস্কার জিতে নিলেও অবাক হবেন না কেউই।
স্কোরবোর্ডে লেখা থাকবে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই বনাম আরসিবি ম্যাচের শেষ ওভারে ক্রুণাল পান্ডিয়ার বলে দীপক চাহারের ক্যাচ ধরেন টিম ডেভিড। তবে স্কোরবোর্ড যে সর্বদা আসল ছবিটা দেখায় না, তার আদর্শ প্রমাণ এই ক্যাচটিই। কেননা চাহারের ক্যাচটি ধরার ক্ষেত্রে টিম ডেভিডের প্রয়াস ছিল নামমাত্র। বরং দীপককে আউট করতে বোলার ক্রুণালের থেকেও বেশি কৃতিত্ব প্রাপ্য ফিল সল্টের।
দুরন্ত রিলে-ক্যাচ সল্ট ও ডেভিডের
জয়ের জন্য ৫ বলে ১৯ রান দরকার ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ১৯.২ ওভারে ক্রুণাল পান্ডিয়া তাঁর ডেলিভারিটিকে পেসারদের মতো ঠুকে দেন। অর্থাৎ, তিনি শর্ট পিচড ডেলিভারিতে ব্যাটারকে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সদ্য ক্রিজে আসা দীপক চাহার মারার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তিনি লেগ সাইডে তুলে মারেন সেই বল। ডিপ মিড-উইকেটে ফিল্ডিং করা ফিল সল্ট অনেকটা দৌড়ে এসে লাফিয়ে বল ধরে নেন। তবে তিনি বুঝে যান যে, ফলো-থ্রুয়ে তাঁর বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়া যাওয়া নিশ্চিত।
তাই তিনি বাউন্ডারির বাইরে চলে যাওয়ার ঠিক আগে বিচক্ষণের মতো বল ছুঁড়ে দেন টিম ডেভিডের হাতে। ডেভিড বল লুফে নিতে ভুল করেননি। ফলে গোল্ডেন ডাকে মাঠ ছাড়তে হয় দীপক চাহারকে।
লড়াকু জয় আরসিবির
সোমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ১২ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে পরাজিত করে আরসিবি। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আরসিবি। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২২১ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০৯ রানে আটকে যায়।