পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এবার এক সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।জানা গেছে, ওই জওয়ান পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য পাচার করত। সেই ২০২৩ সাল থেকে। পাকিস্তানের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে তার সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি তদন্তকারীদের। ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তানের আর্থিক লেনদেন ছিল বলেও খবর।
আরও পড়ুন-১৯৯৯-এও কার্গিলে পাক অনুপ্রবেশ প্রতিহত করেছিল 'অপারেশন সফেদ সাগর'! কীভাবে?
এক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মোতি রাম জাঠ। ২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি চালিয়ে গিয়েছে সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাঠ। দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য সে তুলে দিত পাকিস্তানের গোয়েন্দা আধিকারিকদের হাতে। শুধু তাই নয়, পাক গোয়েন্দাদের তরফে নানাভাবে অর্থও পাঠানো হত অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ানকে।অবশেষে দিল্লি থেকে এনআইএ’র হাতে ধরা পড়েছে মোতি রাম। পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ আদালত আপাতত ৬ জুন পর্যন্ত তাকে এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।মতিরামকে ইতিমধ্যে জেরা শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।জেরায় একাধিক তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তারা। ওই জওয়ান কীভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল, কোনও তথ্য শেয়ার করেছে কিনা, কত টাকার লেনদেন হয়েছে, কীভাবে টাকা আসত, আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা এই সব উত্তর জানার জন্য প্রশ্ন করছেন আধিকারিকরা।
এদিকে এই ঘটনার পরই ওই জওয়ানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে একযোগে সিআরপিএফ কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালানোর সময় ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। একজন জওয়ান নিয়ম ভেঙেছে। তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, ওই জওয়ানকে ‘অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’- এর ধারা ১৫ (সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত কার্যকলাপ), ১৬ (সন্ত্রাসবাদের জন্য শাস্তি) এবং ১৮ (ষড়যন্ত্র ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ) অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-১৯৯৯-এও কার্গিলে পাক অনুপ্রবেশ প্রতিহত করেছিল 'অপারেশন সফেদ সাগর'! কীভাবে?
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর গোয়েন্দারা জানতে পারেন বেশ কয়েকজন বিশ্বাসঘাতক দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এরপরই গ্রেফতার করা হয় হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের হাতে। এরপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ ক’জনকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।চলতি মাসে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে কমপক্ষে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।