ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে গেলে মহম্মদ শামির ভূমিকা থাকবে অনস্বীকার্য। কারণ জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে দুবাইয়ের ট্র্যাকে যদি ভারতকে কেউ সুবিধাজনক জায়গায় রাখতে পারেন তাহলে তিনি শামি। কারণ দুবাইয়ে প্রথমত পেসাররা তুলনায় বেশি সুবিধা পাচ্ছে, আর দ্বিতীয় অভিজ্ঞতার দিক থেকেও শামিই এগিয়ে রয়েছে। জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে অবশ্য প্রথম ম্যাচেই ঝলক দেখিয়েছেন শামি, নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তবে জাতীয় দলের হয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের রাস্তাটা সহজ ছিল না এই পেসারের কাছে। রবিবারের ভারত পাকিস্তান ম্যাচের আগে নিজেই বলছিলেন, ঠিক কি পরিমাণে আত্মত্যাগ তাঁকে করতে হয়েছে দলে কামব্যাকের জন্য। ২০২৩ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক শামি, প্রায় ১ বছর ধরে মাঠের বাইরে ছিলেন।
কীভাবে দুরন্ত কামব্যাক শামির?
জাতীয় দলের জার্সিতে ইংল্যান্ড সিরিজে ফেরার আঘে দীর্ঘদিন শামিকে থাকতে হয়েছিল ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে, চোট সাড়ানোর জন্য। ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের আগেই মহম্মদ শামির সঙ্গে কথা বলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু। সেখানেই তিনি ভারতীয় পেসারের থেকে জানতে চান, কোন পথে তিনি কামব্যাক করেছেন।
আরও পড়ুন-২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করতে ইচ্ছুক ভারত! পাঠানো হচ্ছে প্রস্তাব! হবে ক্রিকেটও? দেখে নিন
শামির সঙ্গে সিধুর কথা-
সিধু প্রশ্ন করেন- কীভাবে তুমি ৫-৬ কেজি ওজন কমাতে পারলে?
এরপরই শামি জানান- আমি মোট ৯ কেজি ওজম কমিয়েছি
সিধু এরপর বলেন- তাহলে কি বিরিয়ানি খাওয়া একদমই ছেড়ে দিয়েছো?
শামি পাল্টা বলেন- সব থেকে কঠিন কাজ হল নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা। আমি যখন চোট কাটিয়ে উঠছিলাম, এনসিএতে ছিলাম। আমার ওজন ছিল ৯০ কেজি। যেটা সব থেকে ভালো বিষয়, তা হল আমি মিষ্টি একদম খাই না। আর ভালো ভালো খাবারের প্রতিও কোনও লোভ নেই। আমি অনেক কিছু জিনিসই এড়িয়ে চলি, যেটা অনেকে পারে না। আর বিরিয়ানির কথা যদি বলি, তাহলে মাঝে মধ্যে তো চিট মিল (মানে একটু আধটু ফাস্ট ফুড খাওয়া) চলেই। ২০১৫ সাল থেকে আমি সারাদিনে মাত্র ১বারই খাবার খাই। আমি শুধুই ডিনার করি, কোনওরকম লাঞ্চ বা ব্রেকফাস্ট করি না। এটা যথেষ্ট কঠিন বিষয়, কিন্তু একবার সড়গড় হয়ে গেলে আর কঠিন মনে হয় না।
শামির প্রশংসায় গিল-
ভারতীয় স্পিডস্টার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫৩ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। এরপরই তাঁর প্রশংসা করে সেই ম্যাচে শতরান করা শুভমন গিল বলেন, ‘আইসিসি প্রতিযোগিতায় শামি খেললে, পাঁচ উইকেটের কম নিতেই চাননা। যেভাবে ও বোলিং করেছে, তাতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুবই চাপে পড়ে গেছিল। যেভাবে চোটের পরে ও কামব্যাক করেছে, বিষয়টা সহজ নয় ’।