সাদা চাদর দিয়ে একটি জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। আর সেই সাদা চাদরের ভিতরে আছে কয়েকজন। দু'পাশে আরও কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যখন একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠছে, তখন একটি ভাইরাল ছবি নিয়ে নতুন করে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন একাংশ। সেই পরিস্থিতিতে ওই ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুলল কলকাতা পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় দাবি করেন যে ওই ছবিতে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই পুলিশ বা ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিক। সেখান কোনও বহিরাগত ছিলেন না।
কাদের কাদের দেখা গিয়েছে (পুলিশের দাবি অনুযায়ী)?
১) নীল ডোরা কাটা জামা: কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার ওসি।
২) বোর্ডের কাছে একদম পিছনে সাদা জামা পরে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি হলেন গোয়েন্দা বিভাগের ভিডিয়োগ্রাফার।
৩) সাদা বোর্ডের একদম পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
৪) পুলিশ কমিশনারের ডানপাশে যে দু'জন দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা হলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ।
৫) পুলিশ কমিশনারের সামনেই ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা।
৬) সাদা কাপড়ের ঠিক ভিতরের দিকে যে মহিলা ছিলেন, তিনি হলে উইমেন্স গ্রিভ্যান্স সেলের ওসি।
৭) তাঁর ডানপাশে যিনি আছেন, তিনি হলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ।
৮) তাঁর ডানপাশে আছেন টালা থানার মহিলা পুলিশকর্মী।
৯) আর একেবারে পিছনে আছেন আরও একজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ।
এই ‘কর্ডন’-র দূরত্ব ৪০ ফুট?
কিন্তু সাদা চাদর দিয়ে যে ‘কর্ডন’ করা আছে, সেটা দেখে তো মনে হচ্ছে না যে তরুণী চিকিৎসকের দেহ যেখানে ছিল, তার ৪০ ফুট পর্যন্ত অংশ কর্ডন (আগেই পুলিশ বলেছিল) করা ছিল? সেটারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল)। তিনি জানিয়েছেন, দুটি 'কর্ডন' ছিল। একটি 'কর্ডন' ছিল ৪০ ফুট দূরে। আর সেটা ‘কর্ডন’ করা অংশের মধ্যে আরও একটি জায়গা ‘কর্ডন’ করা হল। এখন যে ছবিটা ভাইরাল হয়েছে, সেটা ওই ভিতরের ‘কর্ডন’-র জায়গা।
অভিজ্ঞ অফিসাররা ছিলেন, দাবি পুলিশের
কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) দাবি করেছেন, যে ছবিটি সামনে এসেছে, ‘ইনকোয়েস্ট’-র পরে কোনও সময় তোলা হয়েছিল। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ওই দ্বিতীয় ‘কর্ডন’-র মধ্যে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সকলেই অভিজ্ঞ। তাঁরা অতীতে এরকম ঘটনায় তদন্ত করেছেন। আর এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্তের কী করতে হবে, সে বিষয়ে তাঁরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ বলেও জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল)।