সঞ্জয় রায়ের যে বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেটা কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নামেই নথিভুক্ত ছিল। এমনই জানানো হল কলকাতা পুলিশের তরফে। তবে লালবাজারের তরফে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে কলকাতা পুলিশের হাতে যে যে গাড়ি থাকে, সেগুলি পুলিশ কমিশনারের নামেই নথিভুক্ত থাকে। অর্থাৎ সঞ্জয়ের যে বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেটাই যে শুধু পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত ছিল, তেমনটা নয়। আর সেই ব্যাখ্যার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে সঞ্জয় তো নেহাত সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল। তাহলে কলকাতা পুলিশের বাইক ব্যবহার করত কেন? কার আশীর্বাদে সেই বাইক ব্যবহার করত সঞ্জয়?
‘পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত ছিল’ সঞ্জয়ের বাইক
সেইসব প্রশ্নের অবশ্য জবাব দেয়নি পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বিবৃতিতে শুধু বলা হয়েছে, ‘আরজি কর হাসপাতালের যৌন নির্যাতন এবং খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় যে বাইক ব্যবহার করত, সেটা বাজেয়াপ্ত করেছিল কলকাতা পুলিশ। যা পরবর্তীতে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই বাইকটি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত ছিল।’
'সব সরকারি গাড়িই পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত'
সেইসঙ্গে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ‘সেই বিষয়টা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ-কেউ বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। সেই বিভ্রান্তি কাটাতে (কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে যে) কলকাতা পুলিশের হাতে যে যে সরকারি গাড়ি আছে, সেগুলি সরকারিভাবে পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত করা হয়। তারপর সেই গাড়িগুলি বিভিন্ন ইউনিটের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’
CBI-র হাতে সঞ্জয়ের বাইক
আপাতত সিবিআইয়ের হাতে আছে সঞ্জয়ের বাইক। যে বাইকে ‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানোও ছিল। সূত্রে খবর, গত ৯ অগস্ট ভোররাতে ওই বাইকে চেপেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে এসেছিল সঞ্জয়। পরে ওই বাইকে করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তার কয়েক ঘণ্টা পরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
তবে শুধু পুুলিশের বাইক ব্যবহার নয়, সঞ্জয় কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে থাকত বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, যেদিন তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়, সেদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে গিয়েছিল সঞ্জয়।