একদিকে দোল উৎসব। অন্য়দিকে রাজ্য জুড়ে পুরসভায় নতুন বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসবের মধ্যেই রাজ্যে পরপর দুজন কাউন্সিলরের খুনের ঘটনা। যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। আর সেই নিরিখে যাতে কোথাও ঝামেলা না হয় সেটা নিশ্চিত করাটা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেজন্য একেবারে পয়েন্ট উল্লেখ করে একাধিক নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। পাশাপাশি গোয়েন্দা ইনপুটগুলিকে আরও জোরদার করার ব্য়াপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে এই বৈঠকে রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।এদিকে আনিস খান খুনের ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের নামও জড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়াররা আদৌ কতটা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, নিয়ম কানুন কতটা জানেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর সেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের আরও সংবেদনশীল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ফের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।দোল উৎসবের সময় যাতে কোনওভাবেই অশান্তি মাথাচাড়া দিতে না পারে সেব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের তরফে। রাজনৈতিক হিংসা যাতে না ছড়ায় সেটাও দেখার কথা বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখাটা সরকারের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। পরপর দুজন কাউন্সিলর খুন হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। সেকারণেই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার।