এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) গ্রুপ ‘সি’ নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এমনকী এক ‘ভুয়ো’ প্রার্থীকে হাতেনাতে ধরল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই কর্মীর বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসএসসি গ্রুপ ‘সি’ পদে বেআইনিভাবে নিয়োগ করার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার প্রায় ৪০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে নিয়োগের ধরন নিয়ে বিস্মিত হয়ে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অবিলম্বে এক কর্মীর বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। সেইসঙ্গে সেই মামলায় অবিলম্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।উল্লেখ্য, একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায়। সেই নিয়োগ মামলায় প্রাথমিকভাবে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পর্ষদ এবং কমিশনের হলফনামা থেকেই স্পষ্ট যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা আছে। যেহেতু দুটিই সংস্থা রাজ্যের, তাই প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআই। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। তাতে কিছুটা স্বস্তি পায় কমিশন এবং পর্ষদ। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই অনুসন্ধানের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। তবে তথ্যপ্রমাণ যাতে কোনওভাবেই লোপাট না হতে পারে তার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তারইমধ্যে ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ওই প্রার্থীদের ২০১৯ সালের ৪ মে'র পর নিয়োগ করা হয়েছে কিনা এবং তাঁরা এখন কাজ করছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সেই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেন বিচারপতি। তার আগে ২৫ জন কর্মীর বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। তাঁদেরও নিয়োগ ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই বেতন বন্ধের নির্দেশ নিয়েও ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়। আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি হবে। তারইমধ্যে এসএসসি গ্রুপ ‘সি’ পদে বেনিয়মের অভিযোগ উঠল।