আর্থিক লেনদেনে ঝামেলার জেরেই খুন করা হয়েছে ভবানীপুরের দম্পতিকে। তদন্তে নেমে এই কথাই জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় মাস্টার মাইন্ডকে ধরা যায়নি।এদিন ভবানীপুরের খুনের ঘটনাটি সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘যতীন মেহতা, সুবোধ সিং ও রত্নাকর নাথকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সরাসরি খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিন ব্যবসায়ী অশোক শাহকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই তিন জন।’ পাশাপাশি তিনি জানান, ‘পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ সদস্যই এই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্র করে।’ পুলিশের কাছে খবর, মূলচক্রীর এক ভাইকে এক লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন অশোক শাহ। মূলচক্রীর ভাই কোভিডে মারা গিয়েছিলেন। ভাই মারা যাওয়ার পর ওই মূলচক্রীর কাছ থেকে টাকা চেয়েছিলেন অশোক। এই প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার জানান, ২০১৯ সালে একজন আত্মীয় শাহ পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার হিসাবে নিয়েছিলেন। সেই আর্থিক লেনদেনের জেরেই খুন করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অশোকের স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। তবে যে গুলি চালিয়েছে, তাঁকে এখনও ধরা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হলে আরও একজনের নাম উঠে আসছে। তাঁর নাম দীপেশ। যাদের ধরা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই দীপেশের বন্ধু। পুলিশ জানতে পেরেছে, দীপেশকেই টাকা ধার দিয়েছিলেন অশোক। দীপেশ লিলুয়ার বাসিন্দা। দীপেশই অশোকবাবুর স্ত্রীকে গুলি চালিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।