বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কিন্তু কেন আচমকা ঝপ করে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেল তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্নটা উঠছিল। তবে এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৫জন। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪জন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গিয়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। এখানেই প্রশ্ন কী এমন হল যে এই বিপুল সংখ্য়ক পরীক্ষার্থীর সংখ্য়া আচমকাই কমে গিয়েছে রাজ্য়ে।
তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে বয়সসীমা বেঁধে ভর্তি করার জন্যই এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এতটা কমে গিয়েছে। এনিয়ে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তিনি হাজির করেছেন। মন্ত্রীর মতে, এবছর যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা ২০১৩-১৪ সালে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছিল। সেবছর ৬ লাখ ৪০ হাজার পড়ুয়া ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছিল। এদিকে সেই বছর কেবলমাত্র ৬ বছরের শিশুরাই ক্লাস ওয়ানে বসার ছাড়পত্র পেয়েছিল। শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্য়া এতটা কমে গিয়েছে। তবে তার আগে ৫ বছর কিংবা ৬ বছরেও ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হতে পারত।
এদিকে কোভিডের কারণে অথবা অন্য় কোনও কারণে ড্রপ আউট হয়ে যাওয়ার জেরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গিয়েছে বলেও বিভিন্ন মহলে দাবি করা হচ্ছিল। তবে এক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, কোভিডটা ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়ার কোনও কারণ নয়। আসলে ২০১৩-১৪ ব্যাচে ক্লাস ওয়ানেই ছাত্র ভর্তি কম হয়েছিল। সেকারণে তারাই যখন এবার মাধ্যমিক দিতে আসছে তখন মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম। তবে আগামী বছর ফের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্য়া বেড়ে যাবে। আগামী বছর প্রায় ১০ লাখ ছাত্র ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। কারণ ২০১৪-১৫সালে যারা ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছিল তারাই আগামীবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। সেক্ষেত্রে আগামী বছর ফের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাটা বেশি হবে।
এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা উপলক্ষ্যে গোটা রাজ্যজুড়েই কড়াকড়ি করা হয়েছে। কোনওভাবেই যাতে পরীক্ষা ক্ষেত্রে কোনও বিঘ্ন না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে পুলিশ প্রশাসন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup