গ্রামবাংলায় গঙ্গা ভাঙনের ঘটনা অনেকেই দেখেছেন। তার জন্য বাঁধ দেওয়া থেকে শুরু করে গাছ বসিয়ে মাটি শক্ত রাখার নানা প্রয়াস দেখা যায়। কিন্তু এবার কলকাতার গঙ্গার পাড়ের ভাঙন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। শহরেও কি এমনটা ঘটতে পারে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরবাসীর মনে। তবে গঙ্গা তো শহরেও আছে। তাই তার পাড়ের ভাঙন দেখা দিতেই পারে। সেই ভাঙন রোধে ছোট আকারের নারকেল গাছ বসানো শুরু করল কলকাতা পুরসভা। প্রায় ৪৩০টি নারকেল গাছ নদীর তীরে বসানো হচ্ছে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর।
এখন কলকাতার গঙ্গার পাড় বাঁধানো দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই বছর যে বর্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের দাপট দেখেছে গোটা বাংলা–সহ কলকাতা তাতে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। আমফান, ইয়াস থেকে শুরু করে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছিল কলকাতায়। তাতে জলের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল গঙ্গায়। তাই বাজে কদমতলা ঘাট থেকে সোজা প্রিন্সেপ ঘাট সংলগ্ন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নীচ পর্যন্ত গঙ্গা তীরবর্তী অংশে নারকেল গাছ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ৩৫০ এবং দ্বিতীয় দফায় ৭০টি গাছ লাগানো হয়েছে। ভাঙন রোধে এই উদ্যোগ নেওয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলের মধ্যেই মানসিক নির্যাতন শিক্ষিকাকে, সুইসাইড ভিডিয়ো পোস্ট করে আত্মঘাতী দক্ষিণেশ্বরে
শহরের গঙ্গা পাড়ে নারকেল গাছ দেখতে ভালই লাগবে। তার সঙ্গে যদি ভাঙন রোধ করা যায় তাহলে তো বাড়তি পাওনা। কিন্তু কেন নারকেল গাছ? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নারকেল গাছের বড় ক্ষমতা হচ্ছে মাটির শিকড় ধরে রাখতে সক্ষম। আর নারকেল গাছের শিকড় মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত পৌঁছয়। তার জেরে ভাঙন রোধ হয়ে যায়। তাই বড় গাছ না লাগিয়ে ছোট নারকেল গাছ লাগানো হয়েছে। এগুলি করা হয়েছে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনেই। নারকেল গাছে তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। ফলও হয় তাড়াতাড়ি।