ট্যাংরায় একই বাড়িতে তিনজনের দেহ। আর সেই পরিবারের অপর তিনজন সদস্য গাড়ি দুর্ঘটনা আহত। একেবারে পরতে পরতে রহস্য। একের পর এক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে গোটা পরিবারে এই ভয়াবহ বিপর্যয়। এখনও হাসপাতালে ভর্তি পরিবারের তিন সদস্য। পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।
এদিকে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে বাড়ির তিনজন সদস্যকে খুন করা হয়েছে। এদিকে বাড়ির মধ্য়ে একটি ফাইলে ৬জনের মেডিক্লেমের কাগজ রাখা ছিল। কিন্তু কখন এগুলি রাখা হয়েছিল? খুনের আগে নাকি খুনের পরে?
তবে মূল প্রশ্ন হল ট্যাংরায় খুনি কে?
এদিকে সূত্রের খবর, বোলপুরে ট্যাংরার ওই দে পরিবারের জমি রয়েছে। সেখানে একটা সময়ে সিল্কের ব্যবসা করতেন ওই দে বাড়ির সদস্যরা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বোলপুরের সেই জমি বিক্রি করার চেষ্টা হচ্ছিল। মূলত আর্থিক সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।তবে এই জমি বিক্রির ক্ষেত্রে একাধিক ইস্যু ছিল। মূল সমস্যাটি ছিল দে ব্রাদার্সদের নাম ডাকের বিষয়টি। এর জেরে উপযুক্ত ক্রেতাও তারা পাচ্ছিলেন না।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, কেবলমাত্র বাড়ি নয়, কারখানাও বন্দক রাখা হয়েছিল কি না সেটা দেখা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে একাধিক পাওনাদার তাদের বাড়িতে কড়া নাড়তে শুরু করেছিল। গত বছর এই ধারের পরিমাণ হয়েছিল প্রায় ১০ কোটি। সব মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ২০ কোটি।