বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘরে ডেকে সৌজন্য দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার সেই রাজনৈতিক সৌজন্য এখন বাংলার রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে এই সৌজন্যের রাজনীতিতে কোনও আপত্তি নেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাবে তাঁর আপত্তি আছে বলে আজ, শনিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে সাংবাদিকদের জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? সৌজন্য নিয়ে আপত্তি নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে আপত্তি আছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কারও সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে। বিধানসভা সৌজন্যের জায়গা। সাংবিধানিক ব্যবস্থা। সবাই বসে কথা বলে। আমার অন্যায় কিছু মনে হয়নি। আমি নিজেও বিরোধী দলের সঙ্গে সৌজন্য রেখেছি। তবে যে প্রস্তাব উনি দিয়েছেন, চলুন যাই সবাই মিলে দিল্লি থেকে টাকা নিয়ে আসি, তাতে আমার আপত্তি আছে। আমরা টাকা নিয়ে আসব আর সেই টাকায় তিনি মৌজ মস্তি করবেন, আর তার লোকেদের পুষবেন, এটা হতে পারে না।’
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? শুক্রবার সংবিধান দিবসে বিধানসভায় বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সব দলকে নিয়ে প্রতিনিধিদল তৈরি করুন। তাঁরা দিল্লি যাবেন। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে গিয়ে বাংলার হয়ে দাবি করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাবেন। সবাই মিলে উন্নয়নের কাজ করুন।’